বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় ঐক্যজোটের আমলের প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও দুদকের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন তিনি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কারাগারে থেকে এখন অনেকটাই নীরবে নিভৃতে দিন কাটছে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর।

এদিকে, ২০০৭ সাল থেকে বাবরের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত পাজেরো গাড়িটি সচিবালয়ে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় জং ধরেছে গাড়িটিতে। এরপরও গাড়িটি সরানো হয়নি সচিবালয় থেকে। বাবরের পক্ষ থেকেও গাড়িটি দাবি করা হয়নি। নানা জটিলতায় গাড়িটি সরানো যায়নি।

সচিবালয় ঘুরে দেখা যায়, সচিবালয়ের ক্লিনিক ভবনের পেছনের দিকে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে আকাশি রঙের মিতসুবিশি পাজেরো মডেলের গাড়িটি। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় গাড়িটির গ্লাসে জমেছে ধুলার স্তূপ, বডিসহ যন্ত্রপাতিও অকার্যকর।

অন্যদিকে, সচিবালয়ের বিকল সব গাড়ি সরাতে এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সে সময় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের গাড়ির বিষয়টি মন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তিনি সেটিও সরানোর নির্দেশনা দেন। এরপর দীর্ঘসময় কেটে গেলেও সরানো হয়নি এসব বিকল গাড়ি।

গত ৫ এপ্রিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এই গাড়িটিসহ সচিবালয়ে অকেজো থাকা মোট ২৩টি গাড়ি অপসারণের নির্দেশ দেয়। সে সময় জারি করা এক আদেশে, এক মাসের মধ্যে এই গাড়িগুলো সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো গাড়িই শেষ পর্যন্ত সরানো হয়নি।

সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শীর্ষ এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, সচিবালয়ে যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। সে কারণে অনেক গাড়ি সচিবালয়ে অবস্থান করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে সচিবালয়ে বিভিন্ন স্থানে বিকল হয়ে পড়ে থাকা গাড়ি সরানোর জন্য মন্ত্রী নিজে নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপর আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু এখনো সেগুলো সরানো যায়নি।

বাবরের গাড়ি প্রসঙ্গে এ কর্মকর্তা বলেন, সে সময়ের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ নেতারা জোড় সংখ্যার গাড়ি ব্যবহার করতেন। লুৎফুজ্জামান বাবরের সেই গাড়িটি এখনো সচিবালয়ে পড়ে আছে। সেগুলো এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। সুতরাং দ্রুত এগুলো সরানো প্রয়োজন।

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা