বাজেট পেলে ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট করতে চায়ঃ ইসি
নিউজ ডেস্ক:
|
৩০০ আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে দরকার কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট ও প্রশিক্ষণ। ইভিএম কেনার বাজেট ও প্রশিক্ষণ পেলে সব আসনেই ইভিএম ভোট করার ইচ্ছা পোষণ করেছে ইসি। ইভিএমে ভোটের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো কে কী ভাবলো তা আমলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না তারা। গতকাল আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের একথা জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা মনে করি ইভিএমে ভোট ইসির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমরা যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কাজ করি সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত। ইভিএমের পক্ষে পেয়েছি, ইভিএমের বিপক্ষে পেয়েছি, নিরপক্ষে পেয়েছি । সেটাকে আমরা এনালাইসস করেছি বোঝার স্বার্থে। ইভিএমে ভোটে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, আমাকে যদি ৩০০ আসনের টাকা দিতে পারে এবং যারা নির্বাচন করবে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তাহলে সব আসনেই ইভিএমে ভোট করবো আমরা। ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়া ইসির একক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা খানম। তিনি বলেন, ইসির কি এই স্বাধীনতা থাকবে না? আমরা তাদের (রাজনৈতিক দল) সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের ইচ্ছাটা জেনেছি। আমরা যদি বুঝি এই মেশিন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করবো, ইলেকশনটা তো আমাদেরকেই নামাতে হবে। অন্য কেউ তো ইলেকশনটা করে দেবে না। আমরা যদি বুঝি এটা দিয়ে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব তাহেলে কে চাইলো কে চাইলো না এটা কি মেটার করে? ইতোমধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ (কর্মপরিকল্পনা) ঘোষণা করেছে ইসি। তাতে বলা হয়েছে, ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণকারী ২৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইভিএমের পক্ষে ১৭টি রাজনৈতিক দল মত দিয়েছে। বিপক্ষে মত দিয়েছে ১২টি রাজনৈতিক দল। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএমের পক্ষে থাকায় যন্ত্রটি ব্যবহার না করা যুক্তিসঙ্গত হবে না বলে কমিশন মনে করে। কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, উভয়পক্ষের (পক্ষে-বিপক্ষে মতামত) প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কমিশন অনূর্ধ্ব ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যুক্তিসঙ্গত মনে করে। ইভিএমগুলো সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহার করা হবে। অবশিষ্ট ১৫০ আসনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এছাড়া কর্ম পরিকল্পনায় ১৪টি চ্যালেঞ্জ ও এর থেকে উত্তরণের ১৯টি উপায় বলেছে সংস্থটি। গত জুলাই মাসে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয় ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে। ১৭ জুলাই শুরু হওয়া ইসি সংলাপ শেষ হয় ৩১ জুলাই। তেরো দিন ধরে চলা সংলাপে অংশ নেয় ২৮টি দল। সময় চেয়ে আবেদন করা আরো একটি দল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইসির মঙ্গে নির্বাচনী সংলাপে অংশ নেয়। ৩৯ দলের মধ্যে মোট সংলাপে অংশ নেয় ২৯ দল। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে দলগুলোর পক্ষ থেকে মোট ৩২১টি প্রস্তাব আসে। এর মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে বেশি কথা হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা ও নির্বাচনে সেনা মোতায়েন- এই তিনটি বিষয় নিয়ে। আসন বৃদ্ধি, সংরক্ষিত আসন বাতিল, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু দাবিও জোরালোভাবে এসেছে সংলাপে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ওপরে আস্থার সংকটের কথাও উঠে আসে কয়েকটি দল থেকে। সংলাপে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাসদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএম্এল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জেএসডি, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সিপিবি ও বিজেপি।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |