‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইন, ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটি এনেছে। এটা আগে থেকেই ছিলো। গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ অধীনে এটি প্রতিষ্ঠিত ছিলো। তবে আগে ছিলো সরকারি অফিস হিসেবে। এখন আইনটি করা হলো, আইনের মধ্যে এটাকে একটা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।

খসড়া আইনে ২১টি ধারা রয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে ১৫ সদস্যের একটি ইনস্টিটিউশন পরিচালনা পরিষদ থাকবে। আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকবে সভাপতি। একজন মহাপরিচালক থাকবে, বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকবে। আর মহাপরিচালক সরকারের মাধ্যমে নিয়োজিত হবেন এবং একটা কাঠামো থাকবে। এখন যেটা আছে সেটা পরীক্ষা করে যদি এটাতে না হয়, তাহলে পরিবর্তন করা হবে এবং এটার বাজেট তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন করে নেবে। বাজেটে তাদের আয়-ব্যয় দেখানো হবে।

যদি সরকার থেকে মঞ্জুরির প্রয়োজন হয় সেটা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউট প্রতি বছর সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। এই ইনস্টিটিউটকে গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সেজন্য আইনের মাধ্যমে ইনস্টিটিউট হিসেবে আলাদা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যাতে সরকারি বিধি-বিধানের মধ্যে না থেকে তারা স্বায়ত্তশাসিত বডি হিসেবে আমাদের সুশাসনের ক্ষেত্রে যেন একটা বড় রোল প্লে করতে পারে।

সেক্ষেত্রে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ এবং বিশেষ করে সুশাসনের ক্ষেত্রে যে গবেষণার প্রয়োজন হয়, সেটা করবে। মূলত ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্য থাকে গবেষণা কাজটা খুব শক্তিশালী করা। এ কারণে আজকে আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে, জানান তিনি। 

নিউজ ডেস্ক। দৈনিক আজবাংলা