বাংলাদেশে বিনিয়োগে হয়রানির শিকার বিদেশি-প্রবাসীরাঃ সংসদীয় কমিটি
নিউজ ডেস্ক:
|
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এলে বিদেশিরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন বলে মন্তব্য করেছেন সংসদীয় কমিটির একাধিক সদস্য। এ কারণে তারা বিনিয়োগ না করে ফিরে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তারা। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, অনেক কষ্ট করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা বলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আনা হয়। এরপর তারা এসে বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এসব বিষয় অন্যদেরও বাংলাদেশে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করছে। এছাড়া অনেক প্রবাসী বাঙালি দেশে বিনিয়োগ করতে চাইলেও তাদের জমি দখল, বাড়ি দখল থেকে শুরু করে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ফলে তারাও দেশে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন না। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩০তম বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগের বৈঠকে মন্ত্রীসহ অন্য সদস্যরা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবারের বৈঠকে ওই কার্যবিবরণী গৃহীত হয়। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর বিশ্বে ১৬৮তম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এসব প্রতিবন্ধকতা এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে দেশে কোনো বিনিয়োগ হবে না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দেশে বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই। বিনিয়োগ করতে গেলে বিভিন্ন সেক্টরে ধরনা দিতে হয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অধিকাংশই এখানে বিনিয়োগ না করে বাধ্য হয়ে তাদের দেশে ফিরে যাচ্ছেন। কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, দেশে প্রচুর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এ বিষয়ে সরকার ও ব্যক্তিপর্যায়ের উদ্যোগগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক, খন্দকার প্রিন্স, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক ও কাজী নাবিল আহমেদ অংশ নেন। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভুটানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |