শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রত্যাহার
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২, ১২:২৩ রাত | অনলাইন সংস্করণ

ছাত্রলীগ কর্মীদের পুলিশের লাঠিপেটা এবং বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহরম আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, 'সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।'

ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে তার সব কিছুই তদন্ত করা হবে, জানান তিনি।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পদবঞ্চিত কয়েকজন হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করে।

এ সময় বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এটম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বের হন এমপি শম্ভু। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর কাছে লাঠিপেটার কারণ জানতে চান তিনি। তখন মহরম আলী এমপির সঙ্গে তর্কে জড়ান। বলেন, 'স্যার আমাদের গাড়ি ভেঙেছে ছাত্রলীগ। আমাদের গাড়ি ভাঙল কেন জবাব দিয়ে যেতে হবে।'

ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ মোল্লার বড় ভাই জসীম মোল্লা পুলিশের লাঠিপেটা নিয়ে এমপি শম্ভুর কাছে অভিযোগ করতে থাকলে এমপির সামনেই জসীম মোল্লাকে এএসপি মহরম ধমক দিয়ে বলেন, 'গাড়ি ভাঙচুরের অ্যাকশন হবে কিন্তু।'

জবাবে জসীম বলেন, 'মামলা দেন, মারলেন কেন?' এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এমপির সামনেই ডিবি পুলিশ জসীম মোল্লাকে পিটুনির পর আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে এমপির নির্দেশে পুলিশ জসীম মোল্লাকে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহররম আলীকে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে পদবঞ্চিতরা।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ