শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু হত্যায় কারা কলকাঠি নেড়েছেন, তাদের উদঘাটন হওয়া উচিত’ বলেছেন প্রধান বিচারপতি
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২, ০৪:২৭ দুপুর | অনলাইন সংস্করণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছেন, তা উদঘাটন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বিচারপতি এ. এন. এম. বসির উল্লাহ রচিত বিচারিক জীবনের কথা মুনসেফ থেকে জেলা জজ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর ইতিহাসে চিহ্নিত কালো ওই অধ্যাদেশ বাতিলের পর জাতির পিতার খুনের বিচারের পথ খোলে। ওই মামলায় ১৯৯৮ সালে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল থাকে।

ওই ১২ আসামির একজন পলাতক থাকা অবস্থায় দেশের বাইরে মারা যান। দুই দফায় ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কিন্তু পাঁচজন এখনও অধরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমার কাছে মনে হয় বাংলা, বাংলার মাটি, বাংলার বাতাস, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাংলা ভাষা। ১৯৭১ সালে জন্ম হয় বাংলাদেশের। সেজন্য বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে, বাংলা ভাষার কথা বলতে গেলে, বাংলার মানুষের কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধুকে সামনে থেকে যারা গুলি করেছেন এবং স্বীকার করেছেন যে আমরা খুন করেছি। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধুমাত্র কি তারাই বলেছেন? নাকি অনেক বড় চক্র এর পেছনে কাজ করেছে- যেটি এখনও উদঘাটন হয়নি। কিন্তু উদঘাটন হওয়া উচিত, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কলকাঠি কারা নেড়েছেন।’

মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গত ছয় মাসে অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। ৩০ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। এটা অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফল। তাদের এই পরিশ্রমের কথা সাংবাদিকেরা লিখেন না। আমরা বাহবা চাচ্ছি না। কিছুটা হলেও গতি বেড়েছে। মানুষের দুর্গতি কিছুটা হলেও কমেছে। আসুন সবাই মিলে চেষ্টা করি যাতে তাদের যত দ্রুত সম্ভব আদালতের বারান্দা থেকে বাড়ির বারান্দায় ফেরত পাঠাতে পারি।’

আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। সহকারী রেজিস্ট্রার সানজিদা সারওয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইতিহাসবিদ ও গবেষক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বইয়ের প্রকাশক ওসমান গনি।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ