বঙ্গবন্ধুকে যে ২৮ শতাংশ ভোট দেয়নি তারা এখন ৩৫ শতাংশেঃ আইজিপি
নিউজ ডেস্ক:
|
১৯৭০ সালের নির্বাচনে যে ২৮ শতাংশ মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভোট দেয়নি তারা এখন ৩৫ শতাংশের ওপরে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, তারা সেই জনগোষ্ঠী যারা তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে' আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম। আইজিপি বলেন, তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে থাকার কারণে তারা ২৪ বছর অর্থনৈতিক শক্তি জোগাড় করেছে। এই অর্থনৈতিক শক্তি তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণে ব্যবহার করেছে। আমাদেরকে অবশ্যই সেই অবয়ব বাঙালি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, তবে দিনশেষে আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামীর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে পারবে। আইজিপি বলেন, যারা অবয়বে বাঙালি তারা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে, নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল এবং বাঙালি জাতির ক্ষেত্রেও আদি পাপের সৃষ্টি করেছে। এর ফলে যা হবে সহস্র বছর এই জাতি অস্তিত্বলিপিতে থাকবে। ততবছর এই শোক বাঙালি জাতিকে বহন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন লন্ডন থেকে ফেরত আসছিলেন দেশে, তখন সে দেশের সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিল- আপনি যেখানে ফিরে যাচ্ছেন সেখানে ধ্বংস ছাড়া কিছু নেই।' এর উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'আই হ্যাভ মাই ল্যান্ড আ্যন্ড আই হ্যাভ মাই পিপল।' এর মানে দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে ভালোবাসা, আস্থা ও বিশ্বাস তা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। ‘যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে অনেক বাঘা বাঘা ইকোনোমিকস্টরা বলেছিলেন, এ দেশ টিকবে না। কিন্তু তাদের কথা মিথ্যা প্রমাণিত করেছে বঙ্গবন্ধুর দর্শন, তার জনগণ, আজকের ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত’— যোগ করেন ড. বেনজীর আহমেদ। আইজিপি বলেন, আমরা যেমন শোকাহত হবো তেমনভাবে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় জাতিকে এগিয়ে নিতে সদা জাগ্রত থাকতে হবে। জাগ্রত থাকার মাধ্যমে আমরা ক্ষুদা, দারিদ্রমুক্ত ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি গ্রহণ করতে পারব। এটি আমাদের দ্বারপ্রান্তে এখন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |