শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রতিযোগিতায় টিকতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪৮ রাত | অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা ভিশন-২০২১ অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। এছাড়া আমাদের সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর। অধিকন্তু আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছি। এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সকল সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।’
 
আগামীকাল ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) দেশব্যাপী ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস- ২০২১' পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

 

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। শিল্পখাতকে শক্তিশালী করতে স্বাধীনতার পর তিনি বৃহৎ শিল্প কারখানাগুলোর বেশিরভাগ জাতীয়করণ করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্প খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, যথাযথ সুরক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের বহুমুখী প্রসারপূর্বক আরো অধিক প্রতিযোগিতাসক্ষম করতে কাজ করে যাচ্ছে।
 
অর্থনৈতিক উন্নয়নে উৎপাদনশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য উৎপাদনশীলতাকে জাতীয় আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিবছর ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালন করা হচ্ছে এবং শ্রেষ্ঠ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) -এর সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান-২০২১-২০৩০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে উৎপাদনশীলতার প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে উন্নীত হবে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 

জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালন উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের গতি বৃদ্ধিতে এবং উৎপাদনশীলতা বিষয়ে প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

তিনি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০২১’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ