পুলিশের ভয়ে নদীতে ঝাঁপ, তরুণের লাশ তুলল ফায়ার সার্ভিস
নিউজ ডেস্ক:
|
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার ৫নং খেয়াঘাটে পুলিশ দেখে ডাকাতিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন রুবেল (১৮) নামে এক অটোচালক। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর নৌ-ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। কয়লাঘাটের স্থানীয় একটি ডকইয়ার্ডের কাছে নদী থেকে ওই অটোচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই তরুণ পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। রুবেল স্থানীয় ম্যারকাটিজ রোডের শহীদ হাওলাদার বাড়ির ভাড়াটিয়া রিকশাচালক হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। তার একটি শিশুসন্তান রয়েছে বলে জানা যায়। জানা গেছে, রাতভর স্বজনরা কয়লাঘাটসহ আশপাশের এলাকায় খোঁজ করেও রুবেলের সন্ধান পাননি। ঘটনাটি চাঁদপুর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে অবগত করলে তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীতে উদ্ধার অভিযান কাজ শুরু করে। এক ঘণ্টা চেষ্টা করে চাঁদপুর নৌ-ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রুবেলের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। প্রত্যক্ষদর্শী হাসান (১৭) জানান, কাজ শেষে তারা দুই বন্ধু (রুবেল ও হাসান) ডাকাতিয়া নদীর ৫নং খেয়াঘাটের সিঁড়িতে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন সদস্য নদীপাড়ের ওই এলাকায় মাদক সেবনকারীদের ধরার জন্য টহল দিচ্ছিল। দুইজনকে দেখে পুলিশ টর্চলাইট মারলে তারা ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। ঘটনার পর হাসান পাইওনিয়র ঘাট দিয়ে সাঁতরে উপরে উঠে এলেও রুবেলকে আর পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ রুবেলের বাবা হুমায়ুন মিয়া জানান, তার ছেলে অটো চালাত। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার সময় তিনি দেখেছিলেন তার ছেলে এলাকার হাসানের সঙ্গে বাড়ির সামনের রাস্তায় ভ্যানগাড়িতে বসা ছিল। হাসান তার ছেলেকে নিয়ে নদীর পাড়ে কখন যে গেছে, সেটা তিনি জানতেন না। পরে ছোট মেয়ে মোবাইল ফোনে জানতে পায় তার ছেলে রুবেল পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মুহাম্মাদ আবদুর রশিদ বলেন, পুলিশ ওই সময় নদীরপাড় এলাকায় মাদকের অভিযানে গিয়েছিল। এ সময় তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়ায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |