নদীর পানি কমছে ঝালকাঠিতে, দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ
নিউজ ডেস্ক:
|
ঝালকাঠিতে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান ও বাসন্ডা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের দুশতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলের ক্ষেত। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। এছাড়া পানিবন্দি এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এসব রোগে। জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা এলাকার মানিক হোসেন বলেন, ‘পরিবারের শিশুসহ তিনজন চর্মরোগ ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’ ঝালকাঠি সদরের নতুন কলাবাগান এলাকার মাসুম হোসেন বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। পরিবারে আরও দুই সদস্যের কাশি আছে।’ এ বিষয়ে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, জলাবদ্ধতায় অনেক সময় পানিবাহিত রোগ হয়। এসব রোগে আক্রান্ত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বন্যার্তদের ঘরের পাশে কিংবা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে নামা থেকে বিরত থাকতে হবে। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ১০ আগস্ট সকাল থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু। অস্বাভাবিক জোয়ারে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ১৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত তা বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। সোমবার থেকে বৃষ্টি কম হওয়া এবং মঙ্গলবার রোদ ওঠায় পানি কমতে শুরু করে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে দু-তিন দিন সময় লাগবে।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |