শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবেঃ তথ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শুক্রবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৫৩ দুপুর | অনলাইন সংস্করণ
দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবেঃ  তথ্যমন্ত্রী

ছবি । সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিজ্ঞ আইনজীবীরা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে এবং সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। আইনজীবীরা হচ্ছেন সমাজের স্বাভাবিক নেতা। সে কারণে তাদের পক্ষে রাজনীতি করা সহজ। চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনমন্ত্রী আমাকে নিশ্চিত করেছেন আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন। তিনি আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার বাবাও চাইতেন তিনি আইনজীবী হোক। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী যারা পড়েছেন তারা জানেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বহিষ্কার করার কারণে তিনি আইনজীবী হতে পারেননি। 

তিনি বলেন, পৃথিবীর বড় বড় রাজনীতিবিদদের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখা যায় ভারতবর্ষের মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু আইনজীবী ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারাও আইনজীবী ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আইনজীবী পেশাটা রাজনীতির জন্য সহায়ক। আমাদের দেশের প্রথম যে পার্লামেন্ট, ৭০ এর নির্বাচনের যে পার্লামেন্ট, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পূর্ব পাকিস্তানের যে আইনসভা ছিল, পাকিস্তানের যে আইনসভা ছিল, ভারতবর্ষের বাংলার যে আইনসভা ছিল সেদিকে যদি তাকায়, সেখানে মেজরিটি ছিল আইনজীবী। পরে অর্থের দাপটের কাজে অনেকে টিকতে পারেনি। আমাদের মন্ত্রিসভায়ও পেশাগত দিক দিয়ে এখনো সবচেয়ে বেশি হচ্ছে আইনজীবী। কারণ আইনজীবীরা হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক নেতা। সে কারণে তাদের পক্ষে রাজনীতি করা সহজ।

মন্ত্রী বলেন, যেভাবে চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনের অনেক সদস্য ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ভূমিকা রেখেছে। সেই বিবেচনায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশের জেলা বারগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বার। বারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলেই সেটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ বার হয় না। যদি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অতীত সদস্যদের কথা চিন্তা করেন, তারা এই দেশের স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম, দেশ বিভাগের আগে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, সেই বিবেচনা যদি করেন যারা নেতৃত্ব দিয়েছে অনেকেই চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন।

তিনি বলেন, অনেক বিজ্ঞ আইনজীবী এই সমিতির সদস্য ছিলেন। এখনো অনেক সদস্য আছেন যারা অনেক বড় বড় আইনজীবীর চেয়েও অনেক জ্ঞান রাখেন। সেই বিবেচনায় চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের যত জেলা বার আছে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ বলে আমি মনে করি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিজ্ঞ আইনজীবীরা রাষ্ট্র গঠনে সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। যেভাবে চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনের অনেক সদস্য ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ভূমিকা রেখেছে।

চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ হাশেমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভুঞা, মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এ. এস. এম বদরুল আনোয়ার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলম ভুঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি শফিক উল্লাহ, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ উদ্দিন হায়দার, সাবেক সভাপতি এনামুল হক প্রমুখ।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ