ঢাকাতেই শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি ইমিগ্রেশন
নিউজ ডেস্ক:
|
চলতি বছর শতভাগ হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রবেশের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই সেরে ফেলা হবে। মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ ফ্রেমওয়ার্ক- কর্মসূচির আওতায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই শেষ করা হবে সব কাজ। রমজান উপলক্ষ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়ার সময় সৌদি রাষ্ট্রদূত এসব তথ্য জানান। সেই সঙ্গে তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশে ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে ঢাকা আসছে সৌদি আরবের একটি বিশেষ প্রতিনিধিদল। মার্চেই সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ তিন দিনের জন্য ঢাকা সফর করেছেন। সফরে বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ আলাপ হয় দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে।
এর ধারাবাহিকতায় এপ্রিলে সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ঢাকা সফর করবেন। উদ্দেশ্য বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান বলেন, বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। আমরা বাংলাদেশের সাথে তেল গ্যাস বিদ্যুত, অবকাঠামো প্রযুক্তিসহ সব খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে চাই। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা। আমরা ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করতে চাই।
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, হজ সেবা উন্নয়নের জন্য ‘ভিশন ২০৩০’ গ্রহণ করেছে সৌদি আরব। ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম এই কর্মসূচির আওতায় নিজেদের হজযাত্রী সেবা দেয়া শুরু করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। ২০১৯ এই সেবা বাংলাদেশ ভারত এবং পাকিস্তানে শুরু হয়। শুরুতে ঢাকা থেকে পশ্চাশ ভাগ যাত্রীকে সৌদি প্রবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে এবার শাতভাগ হাজিই এই সেবা পাবেন। সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঢাকা বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের হাতের ১০ আঙুলের ছাপ গ্রহণ করা হবে। সাথে পাসপোর্ট স্ক্যান ও ছবি তোলা হবে। এরপর ঢাকা হজ ক্যাম্পে বিমানে ভ্রমণকারী হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সেরে নেয়া হবে।
২০১৯ বাংলাদেশ থেকে মোট হজযাত্রীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২৬ হাজার। তবে এ বছর পুরোপুরি হজ খুলবে কিনা, এখনও সে ঘোষনা দেয়নি সৌদি আরব। তবে, আশা করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি সহনীয় হয়ে আসায় অন্যান্য দেশের মুসল্লিরাও হজ করা সুযোগ পাবেন। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |