বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো একটি জায়গায় গ্যাপ থেকে যাচ্ছেঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২, ০২:৪৮ রাত | অনলাইন সংস্করণ
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো একটি জায়গায় গ্যাপ থেকে যাচ্ছেঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ছবি । সংগৃহীত

মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সফলতা দেখলেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো একটি জায়গায় গ্যাপ থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির।

তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা ও সাধারণ মানুষের গৃহস্থালী পর্যায়ে সচেতনার মাঝে সমন্বয়ে গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। মশার আবাস ধ্বংস করতে পারলে ডেঙ্গুর ক্ষয়ক্ষতিও কমানো যাবে।

অধ্যাপক আহমেদুল কবির বলেন, রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেইসঙ্গে মুগদা, কেরানীগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকেও অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে আসছেন। ঢাকার বাইরেও বেড়েছে মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ এবং মৃত্যুও বেশি অন্য জেলায়। একক জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে কক্সবাজারে। আর মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। 

অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটি কমছে না। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আমাদের সমস্ত হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার জন্য লোকবল, লজিস্টিকস, জায়গা তৈরি রাখার ওপর জোর দিচ্ছি। সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত রোগী ভর্তির পাশাপাশি আবার কত ডেঙ্গু রোগী আসবে তা আমরা জানি না। যে কারণে জায়গা তৈরি রাখছি, কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় ফেরত না যায়।

কক্সবাজারের ডেঙ্গুর বিষয়ে তিনি বলেন, এ বছর শুধু এ জেলাতেই ডেঙ্গু ‍নিয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৬৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ ডেঙ্গুর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০ বছরের উপরে যাদের বয়স, তাদের আক্রান্তের পরিমাণ বেশি (৬২ শতাংশ)। তবে বয়স্ক রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। মারা যাওয়াদের এক তৃতীয়াংশের বয়সই চল্লিশের উপরে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাসপাতালে আসার ০-৩ দিনের মধ্যে বেশি রোগী মারা যাচ্ছেন। পুরুষের তুলনায় নারীদের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষ রয়েছেন।

দ্বিতীয়বার আক্রান্তরা বেশি ভুগছেন জানিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল বলেন, এ বছর আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি যে, রোগীরা হাসপাতালে এসেই শকে চলে যাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগটা আমাদের দেশে অনেকদিন ধরে আছে। সবাই কোনো না কোনো স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরণ আছে। এর মধ্যে চলতি বছর তিনটি ধরনের সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি, মৃত্যু কিছুটা বেশি হওয়ার পেছনে এই একাধিক ধরনের সক্রিয়তার বিষয়টি কিছুটা দায়ী।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ