বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাকা নিয়ে স্কুলের জাল সার্টিফিকেট দেন শিক্ষক
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৩৪ রাত | অনলাইন সংস্করণ

অর্থের বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বরিশালের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচএম শামীম আহম্মেদের বিরুদ্ধে। জাল সার্টিফিকেট বিক্রির অর্থ গ্রহণ সংক্রান্ত একটি ভিডিও এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ও মাউশি পরিচালক।

সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচএম শামীম আহম্মেদ বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডের ফরাজী ওয়ার্কশপ সংলগ্ন ফজলুল হক রেসিডেন্সিয়াাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মালিক। সুমন নামে এক ব্যক্তিকে ওই স্কুল থেকে ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়নপত্র দেন শিক্ষক শামীম। ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইলিয়াাস খন্দকারের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেই স্বাক্ষর দেন।

সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়নপত্র প্রদানে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হলেও শেষে সুমনকে ৩ হাজার টাকায় তা দিতে রাজি হন শিক্ষক শামীম। সার্টিফিকেটের বিনিময়ে নগদ অর্থ গ্রহণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয় বরিশাল জুড়ে।

সার্টিফিকেট ক্রেতা সুমন বলেন, আমি অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট কিনতে যাই শিক্ষক শামীম আহম্মেদের কাছে। তিনি ১০ হাজার টাকা দাবি করলে আমি ৩ হাজার টাকা দেই। তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষের পরিবর্তে নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।

এ বিষয়য়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান অভিযুক্ত শিক্ষক এইচএম শামীম আহম্মেদ।

সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর বরিশালের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শামীম নামে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ