জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু-উন্নয়ন অংশীদারঃ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
|
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অংশীদার। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজানের বেদনাদায়ক ঘটনায় ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত জাপানের সাতজন নাগরিক নিহত হন। আমি তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সহানুভূতি জানাই। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম দেশ হওয়ায় এ হৃদয় বিদারক ঘটনায়ও দুদেশের সম্পর্কের গভীরতা একটুও কমেনি, বরং সেটা কাটিয়ে ওঠে দুদেশের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গ্যালারিতে জাপান দূতাবাস, জাপান ফাউন্ডেশন ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ আয়োজনে ‘ফটোগ্রাফিক ইমেজেস অ্যান্ড ম্যাটার : জাপানিজ প্রিন্টস অব দ্য ১৯৭০’ শীর্ষক দুই সপ্তাহব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্ট মেকিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল বারেক আলভী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। খালিদ বলেন, আজকের জাপানিজ প্রিন্ট প্রদর্শনীটি মূলত ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী। নেপাল থেকে বাংলাদেশে এসেছে এবং এরপর আরও অন্যান্য দেশে যাবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধের পর জাপানে প্রিন্ট মেকিং ব্যাপকভাবে বিকশিত হয় এবং ১৯৭০ এর দশকে তা উন্নতির শিখরে পৌঁছে। প্রদর্শনীটি জাপানের ১৪ জন প্রখ্যাত শিল্পীর সৃজনশীল কাজসমূহ আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে, যা মূলত প্রিন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে সমসাময়িক শিল্পকলাকে প্রদর্শন করেছে। জাপানের রাষ্ট্রদূতের ভূয়সী প্রশংসা করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতো নাওকি একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |