বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাতিসংঘে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:০৭ রাত | অনলাইন সংস্করণ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে।  এসময় কাশ্মীর ইস্যু টেনে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে ‘মুসলিমবিদ্বেষী’ বলে অভিযুক্ত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জবাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে পাকিস্তান সরকারকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন ভারতের তরুণ কূটনীতিক স্নেহা দুবে।

 

ভারতের প্রতি আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখা ইমরান খানের জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে যেন আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতকে ‘মুসলিমশূন্য’ করতে চান বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সরকারপ্রধান।

করোনার কারণে নিউইয়র্কে যাননি ইমরান খান। এর বদলে পূর্বে ধারণ করা ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। এতে জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক ইসলামভীতি এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে দুর্নীতিবাজ অভিজাতদের ব্যাপক লুটপাট প্রসঙ্গে কথা বলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।  তিনি মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেও মন্তব্য করেন। 

 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামভীতির সবচেয়ে জঘন্য ও বিস্তৃত রূপ এখন ভারত শাসন করছে। বিদ্বেষপূর্ণ হিন্দুত্ববাদী আদর্শে পরিচালিত আরএসএস-বিজেপির শাসন ২০ কোটি মুসলিমের বিরুদ্ধে ভয় ও সহিংসতার রাজত্ব কায়েম করেছে।

 

ইমরান খান বলেন, সব প্রতিবেশীর মতো পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে শান্তি চায়। কিন্তু স্থায়ী শান্তি কাশ্মীরি বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর নির্ভরশীল। তার দাবি, ওই অঞ্চলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশদ তথ্য-প্রমাণ উন্মোচন করেছে পাকিস্তান।

 

এদিন বিশ্ব সম্প্রদায়কেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। তার অভিযোগ, ভারতের শত কোটি মানুষের বাজার ধরার বাণিজ্যিক স্বার্থে দেশটির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।

 

শুক্রবার জাতিসংঘ অধিবেশনে ছিলেন না নরেন্দ্র মোদী। তবে ইমরান খানকে কড়া জবাব দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। অধিবেশনে ‘রাইট টু রেসপন্ড’ সুযোগ ব্যবহার করে বক্তব্য রাখেন তিনি।

স্নেহা পাল্টা তির ছুড়ে বলেন, পাকিস্তান সেই দেশ, যে অগ্নিনির্বাপকের ছদ্মবেশে থেকে আগুন জ্বালায়। পাকিস্তান সন্ত্রাসের লালন-পালন করে তা সবাই জানে ।

আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে পাওয়া গিয়েছিল উল্লেখ করে তরুণ এ কূটনীতিক বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিষিদ্ধ সর্বাধিক সন্ত্রাসী আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে এই দেশের। পাকিস্তান নিজ আঙিনায় সন্ত্রাস পালে এই আশায় যে, তারা শুধু প্রতিবেশীদেরই ক্ষতি করবে।

 

এসময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ভূমিতে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যার কথাও উল্লেখ করেন স্নেহা। তিনি বলেন, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যে বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গণহত্যা চালিয়েছিল। আমরা ইতিহাসের সেই ভয়াবহ ঘটনার ৫০তম বার্ষিকীকে পা দিয়েছি, কিন্তু (পাকিস্তান) আজও তা স্বীকার করেনি, জবাবদিহিতাও অনেক কম।

 

স্নেহা দুবে বলেন, ভারত পাকিস্তানের মতো নয়। এটি বহুত্ববাদী গণতন্ত্র, যেখানে সংখ্যালঘুদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ