কোনো বিদেশি সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দেবো নাঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
|
বিদেশের কোনো বিচ্ছিন্ন বাহিনী বা সংগঠনের কোনো সন্ত্রাসীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এটিইউ, র্যাব, ডিএমপির সিটিটিসি- সবাই মিলে আমরা জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করেছি। যারা জঙ্গিবাদের পথে রেডিকালাইজড (মৌলবাদি) হয়েছেন, তাদের কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি এটি একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমরা সেই জায়গায় কাজ করছি। আমরা সেটা পেরেছি বলে বিশ্বে মডেল হয়েছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে বলেছেন, আমরা জঙ্গি দমনে অভূতপূর্ব কাজ করেছি। আমরা এখানে কখনো জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেবো না। বিদেশি কোনো সন্ত্রাসীকেও আশ্রয় দেবো না। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদ একবার আমাকে বগুড়াতে নিয়ে গেলেন, দেখলাম এক জঙ্গিকে তার মা র্যাবের হাতে তুলে দিলেন। সবার প্রচেষ্টায় আজকে আমরা এই জায়গায় এসেছি। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পাঁচ বছরের মাথায় তাদের অনেক সফলতা রয়েছে। আমি তাদের নেতৃত্ব, দক্ষতা দেখেছি। এটিইউ কাজের মাধ্যমে চৌকস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সে কারণেই জঙ্গি দমনে সফলতা আসছে। ‘তবে এটিইউকে আরও কাজ করতে হবে। আমরা যে লক্ষ্যে যেতে চাই, সেই লক্ষ্যে আরও অনেক কাজ করতে হবে।’ যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটকে কখন প্রয়োজন হলো? এমন প্রশ্ন তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে যখন জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছিল বাংলাদেশে তখন আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের কানেকশন ছিল না। হঠাৎ করে তারা বেগবান হয়ে গেলো। বিভিন্ন জায়গায় তাদের উপস্থিত দেখা যাচ্ছে। তার আগে আমরা টেররিস্টদের উত্থান দেখেছি। বাংলা ভাইয়ের উত্থান দেখেছি, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেডের পর গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে নারকীয় কাণ্ড, সেটাও আমরা দেখেছি। তিনি বলেন, ৬৩ জেলায় একসঙ্গে বোমার বিস্ফোরণ দেখেছি। জঙ্গিদের কীভাবে প্রতিহত করা যায়, সেজন্য কাউন্টার টেররিজম দিয়ে শুরু করলাম, কীভাবে জঙ্গিদের তথ্য আগে পাওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করার জন্য। পরে আমরা দেখলাম জঙ্গিরা থেমে নেই, বিভিন্নভাবে কাজ করছে। ইতালি, জাপানি নাগরিক এবং ধর্মীয় কেন্দ্রে (উপাসনালয়) আঘাত শুরু করে। ইস্কন মন্দির, গির্জা, পুরোহিত-ফাদার কিংবা মসজিদ, শোলাকিয়া ময়দান, হলি আর্টিসানসহ একের পর এক হামলা হয়। পরে জঙ্গিদের উত্থান থামাতে এটিইউ কাজ শুরু করে। ‘আজ তারা (এটিইউ) জঙ্গি দমনে সফলতা দেখিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ উপড়ে ফেলেছি তা বলবো না, আমরা কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণ) এনেছি, যা জোরগলায় বলতে পারি। আমাদের এটিইউ, সিটিটিসি, পুলিশ, র্যাব সবাই মিলে কাজ করছে। এজন্যই বর্তমানে এই জায়গায় আসতে পেরেছি। যুবকরা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। তাদের নিয়ে কাজ করছে এটিইউ। পাঁচ বছরের মাথায় তাদের অনেক সফলতা রয়েছে। আমি তাদের নেতৃত্ব, দক্ষতা দেখেছি।’ মন্ত্রী আরও বলেন, এটিইউ কাজের মাধ্যমে চৌকস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তার কারণেই জঙ্গি দমনে সফলতা আসছে। আর দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ না। এটিইউ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। এছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |