কাবুল চিড়িয়াখানায় কি করছে তালেবান যোদ্ধারা?
নিউজ ডেস্ক:
|
কাঁধে অত্যাধুনিক একে-ফোর্টি সেভেন ও এম-সিক্সটিন রাইফেল নিয়ে কাবুল চিড়িয়াখানা ঘুরে বেড়াচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা। সেখানে আগত বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে তারা বেশ উপভোগ্য সময় কাটাচ্ছেন, যা দেশটির নাগরিকদের কাছে অভিনব দৃশ্য হিসাবেই দেখা দিয়েছে।
চিড়িয়াখানা ভেতরে দর্শনার্থীরা যখন বিভিন্ন গাছের ছায়ায় বসে দুপুরের আহার করছেন কিংবা আইসক্রিম ও ডালিম খেতে ব্যস্ত তখন সিংহ, চিতাবাঘ, উট, নেকড়ে, উটপাখি এবং বানরের খাঁচার সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা।
অনেক তালেবান যোদ্ধার কাছেই রাজধানী কাবুল একটি অপরিচিতি শহর। সেই সঙ্গে নগর জীবন সম্পর্কে নেই কোন ধারণা। থাকার কথাও নয়। দীর্ঘ সময় পাহাড়ের গুহায় কিংবা কোন গোপন আস্তানাতেই কেটেছে তাদের জীবন।
সেই সব তালেবান যোদ্ধার কাছে কাবুল হচ্ছে একটি স্বপ্নের নগরী। রাজধানীর হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে করে শিশু পার্ক আর চিড়িয়াখানা জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।
তাই চিড়িয়াখানায় এসে সেই বিষ্ময়ে ঘোরেই কাটে তাদের সময়। তারা গ্রুপ ছবি তোলার জন্য সেলফি তোলে ও পোজ দেয়। কিন্তু তাদের আনন্দ অন্যের জন্য অশান্তির বিষয় হয়ে উঠে যখন তারা খাঁচার পশুদের সঙ্গে তামাশা করতে গিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছেন।
গেত শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর থেকেই কাবুলের চিড়িয়াখানায় সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধাদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকে আবারো কোন অস্ত্র ছাড়াও গেছেন। পরনে ছিলো ঐতিহ্যবাহী আফগান টুপি, পাগড়ি ও শাওয়াল। অনেকে চোখে ছিলো সুরমা লাগানো।
এদেরই একজন ৪০ বছরের আব্দুল কাদির। তিনি বর্তমানে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হয়ে কাজ করছেন। কাদির জানান, তিনি তার পুরুষ বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘জীব-জন্তু আমার খুব প্রিয়। বিশেষ করে আমাদের দেশে যেসব পশু দেখতে পাওয়া যায়, সেবব নিয়ে আমার আগ্রহ আছে। সবচেয়ে বেশি পছন্দ সিংহ’।
চিড়িয়াখানায় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমি নিজেও এই ধরনের বিনোদন কেন্দ্রে অস্ত্রসহ প্রবেশের বিপক্ষে। আমরা সেই ব্যবস্থাই নিচ্ছি।
তবে তিনি যখন এই কথা বলছিলেন, তখন সামিরক পোশাক পরিহিত একটি দল সজোঁয়া বহরে করে দ্রুত গতিতে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করে জন্তুদের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে পেশাদার আলোকচিত্রী দিয়ে ছবি তোলে আবার নিমিষেই বেড়িয়ে যায়।
রাজনীতি/এসজি
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |