শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে যেসব কাজ করবে ডিএসসিসি
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বুধবার, ৩১ আগস্ট ২০২২, ১২:৪২ রাত | অনলাইন সংস্করণ
কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে যেসব কাজ করবে ডিএসসিসি

ছবি । সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন কাঁচাবাজারগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ।

মঙ্গলবার (৩০ অগাস্ট) দুপুরে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ‘ঢাকা সাউথ সিটি ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ফুড সিস্টেম’র ১১তম বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ডিএসসিসি এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি আমরা একটা প্রবিধান করেছি। সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় হতে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো যথাযথভাবে এড্রেস করবো। আমরা আশাবাদী, আগামী দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত একটি প্রবিধান পেয়ে যাবো। এরপর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা কাঁচাবাজারগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সক্ষম হবো।

প্রবিধানের অভাবে এতদিন রাজধানীর অধিকাংশ কাঁচাবাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো কষ্টসাধ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরে কাঁচাবাজারের সংখ্যা ৪০০ শতাধিক। কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাজারের সংখ্যা খুবই কম। এ সংখ্যা পঞ্চাশেরও নিচে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী এর নিয়ন্ত্রণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। আইনে বলা হয়েছে, প্রবিধান দ্বারা আমরা এ কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করবো। এর আগে এ ধরনের প্রবিধান করা হয়নি বলে বেসরকারি বাজারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও তদারকি করা সহজ ছিল না। প্রবিধান চূড়ান্ত হলে এ কার্যক্রম সহজতর হবে।

করপোরেশন এককভাবে নয়, সব অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব উল্লেখ করে ফরিদ আহাম্মদ আরও বলেন, বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের একটি স্থায়ী কমিটি রয়েছে। কিন্তু এককভাবে এ কমিটি তা পারবে না। আমরা আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, স্থায়ী কমিটির পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, আমাদের স্যনিটারি পরিদর্শক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট এনজিগুলোর সমন্বয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা হবে। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আশা করি সবার প্রচেষ্টায় ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারবো।

নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা উত্তর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ‘ঢাকা ফুড সিস্টেম (ডিএফএস) ২০৪১’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। শহরের বাসিন্দাদের জন্য ২০৪১ সালে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থাপনা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পটি নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিনজেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চের প্রযুক্তিগত সহায়তায় সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে একটি প্রমাণভিত্তিক এবং সহযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ডিএফএস-২০৪১ তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে। এটি জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনের পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

ডিএফএস প্রকল্পের সিটি কো-অর্ডিনেটর শরিফা পারভীনের সঞ্চালনায় বৈঠকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জেভিয়ার বুন, করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রকল্পের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদিন, করপোরেশনের বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বৈঠকে অঞ্চল-৩ এর বাবর আলী মীর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৯ নম্বর আসনের শেফালী আক্তার ও ২১ নম্বর আসনের সেলিনা খাঁন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকা ও ইনস্টিটিউট অব প্রফেশনাল ট্রেনিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইপিটিএম) এবং কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ