করোনা বাড়ায় চীনে সাংহাইয়ে ফের লকডাউন
নিউজ ডেস্ক:
|
করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাইয়ে দুই ধাপে লকডাউন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে আরও কিছু শহরে লকডাউন জারি করা হয়। বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানার উৎপাদনও। সোমবার থেকে শহরটির আড়াই কোটি মানুষ লকডাউনের মধ্যে থাকবে। খবর ডয়েচে ভেলের। দু'বছর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনা হয়। তবে সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে পুরোপুরি লকডাউন চালু হয়নি। স্থানীয় সময় রবিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ দুই ধাপে নয়দিন সাংহাইয়ে লকডাউন চালুর ঘোষণা দেয়। গত এক মাস ধরে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ শহরটির সব কাজ বন্ধ রেখে ব্যাপক হারে পরীক্ষা চালানো হবে। চীন এখন ওমিক্রন মোকাবিলায় কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। চীনা কর্তৃপক্ষ বলছি, অর্থনীতির স্বার্থেই এই শহর চালু রাখা জরুরি ছিল। এখন দুই পর্বে লকডাউন ঘোষণা করা হলো। অর্ধেক শহরে লকডাউন থাকবে এক ধাপে। বাকি অর্ধেক আরেক ধাপে। সাংহাইতে শহরের পূবদিকের অংশে সোমবার থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। পশ্চিম অংশে লকডাউন চালু হবে ১ থেকে ৫ এপ্রিল। নগর কর্মকর্তা উ ফান সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, সংক্রমিতদের দ্রুত শনাক্ত করতে এবং ভাইরাসকে নির্মূল করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সাংহাইয়ের গভর্নর বলেছেন, যারা শহর থেকে বের হতে চান তাদের অবশ্যই করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন ও রাইড শেয়ারিং সার্ভিসও বন্ধ থাকছে। বহু প্রতিষ্ঠান ও কারখানাকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাংহাইয়ের গাড়ি তৈরির কারখানা চার দিনের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইলন মাস্কের টেসলাও। তবে বিমান, রেল ও আন্তর্জাতিক অন্যান্য সার্ভিস চালু থাকবে বলে জানা গেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। যদিও করোনার আসল উৎস কোথায় তা এখনো স্পষ্ট জানা যায়নি। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |