ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে শিয়া ধর্মীয় নেতা মুক্তাদা আল-সদরের দল সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে। প্রাথমিক ফলে তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার আভাস পাওয়া গেছে। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। তিনি দৃশ্যত শিয়া দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন।

ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী শিয়া এবং ২০০৩ সালে সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম সরকারের পতনের পর থেকে দেশটির রাজনীতিতে শিয়া দলগুলো প্রাধান্য বিস্তার করে। সাদ্দাম সরকারের পতনের পর থেকে তারাই এখন পর্যন্ত সরকার গঠন করে আসছে।

নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই গত রবিবার ইরাকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠত হয়। রবিবারের নির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

প্রাথমিক ফল দেখা যাচ্ছে, ৩২৯ আসনবিশিষ্ট ইরাকি পার্লামেন্টে মুক্তাদা আল-সদরের দল এখন পর্যন্ত পেয়েছে ৭৩ আসন। সুন্নি নেতা ও সংসদ স্পিকার মোহাম্মাদ আল-হালবুসির দল প্রোগ্রেসিভ কোয়ালিশন ৩৮ আসন পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় স্থানে থাকা ‘রুল অব ল’ দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।

ইরাকি পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলে এগিয়ে থাকা দলের নেতা মুক্তাদা আল-সদর সোমবার রাতে এক টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ‘বিদেশি প্রভাবমুক্ত একটি জাতীয়বাদী’ সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, মুক্তাদা আল-সদরের দলের এক মুখপাত্র এখন পর্যন্ত ৭৩টি আসনে জয়লাভের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও একই তথ্য জানিয়েছে।

ইরাকের নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলে মুক্তাদা আল-সদরের দল প্রথম স্থানে রয়েছেন। তবে তার দল কতটি আসনে জয় পেয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।