আশুলিয়ায় একই দিনে ৫ বছরের শিশু ও দুই কিশোরী ধর্ষণ
নিউজ ডেস্ক:
|
সাভারের আশুলিয়া একই দিনে ৫ বছরের এক শিশু ও দুই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিশু পোশাকশ্রমিক দম্পতি কন্যা ও অপর দুই কিশোরী একটি হস্তশিল্পশ্রমিক। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়া থানায় এসকল ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন জামগড়ার পোশাকশ্রমিক দুলাল হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন (১৫)। অপরদিকে দুই কিশোরী ধর্ষণের অভিযুক্তরা হলেন আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট ফকিরবাড়ী মসজিদসংলগ্ন এলাকার 'রুবেল হেয়ার ক্যাপ' হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মোক্তার হোসেন ও শ্রমিক আরিফ। ঘটনার পর থেকে তিন অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। শনিবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়ার ইউনিকের দরগারপাড় এলাকার পাঁচতলা ভবনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে দুই কিশোরী ও জামগড়া এলাকায় প্রতিবেশী কিশোরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয় ৫ বছরের এক শিশু। কিশোরী ধর্ষণের এজাহার সূত্রে জানা যায়, 'রুবেল হেয়ার ক্যাপ' হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীরা কাজ করতেন। এদের মধ্যে কারখানার শ্রমিক আরিফের সঙ্গে এক ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে কারখানার স্যাম্পল আনার কথা বলে আরিফ তার প্রেমিকা ও সুপারভাইজার মোক্তার হোসেন অপর এক শ্রমিককে কারখানা থেকে আশুলিয়ার ইউনিক নিয়ে যায়। সেখান থেকে দরগারপাড় এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের চারতলায় নিয়ে যায়। এরপর গত ৯ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দুজনই ভুক্তভোগী দুই কিশোরীকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার তাদের উদ্ধার করে থানায় মামলা দায়েন করে। একই দিনে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় প্রতিবেশী কিশোরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় পোশাকশ্রমিক দম্পতির ৫ বছরের শিশুকন্যা। ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, 'আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজন পোশাকশ্রমিক। আমার ভাড়া বাসায় ভাতিজা শিশু মেয়ের খেয়াল রাখে। ভাতিজা বাইরে খেলছিল। এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী কিশোর নাজমুল ঘরে ঢুকে আমার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। অন্য প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় আসি। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই শিশুকে। অভিযুক্ত ও তার পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। পরে বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযুক্ত কিশোর নাজমুলের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি থানায়। ' আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আউয়াল হোসেন বলেন, দুটি মামলা হয়েছে, একটি প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |