আটকে থাকা সাড়ে ১১ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণঃ কাদের
নিউজ ডেস্ক:
|
নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে থাকা সাড়ে ১১ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ তিনি এ কথা জানান। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ উপস্থাপনা করেন বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। ওবায়দুল কাদের বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জট খুলেছে। পুরনো সাড়ে ১১ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স যেগুলো পেন্ডিং ছিলো সেগুলো দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভোগান্তিও অনেকটা দূর হবে। ড্রাইভিংয়ের বিষয়ে অনেক কিছু করার আছে। এই যে ঝাঁকে ঝাঁকে তিন চাকার গাড়ি রাস্তায় চলে বিশেষ করে মহাসড়কে, সেজন্য সড়ক দুর্ঘটনা কম হলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। ইজিবাইকে বাসের ধাক্কা লাগলে আটজন থাকলে সবাই মারা যাচ্ছে। মোটরসাইকেল মোটামুটি কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছি। ঢাকা সিটিকে দুজন থাকলে মাখায় হেলমেট থাকছে। রোড সেফটি এ মুহূর্তে আমাদের অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, অনেকে অনেকদিন ধরে রাজনীতি করেন, তাদের অনেকে এমপিও হতে পারেননি। আমি সেদিক থেকে ভাগ্যবান। একজন রাজনীতিকের ১৬ বছর মন্ত্রী থাকা ভাগ্যের ব্যাপার। আওয়ামী লীগের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। সরকারের কাজও চ্যালেঞ্জিং, আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালনও চ্যালেঞ্জিং। তারপরও সৌভাগ্যক্রমে সরকারি দায়িত্ব পালনে কতোগুলো মেগা প্রজেক্ট থাকে, সেগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব আমার। মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে, উদ্বোধনও হয়েছে। এটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিলো। অনেক বাধা, অনেক সমস্যা ছিল। নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের অনেকে হাল ছেড়ে দিয়েছিলো, কারণ পদ্মার স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি। ঈদের রাতেও পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে বারবার বৈঠক করতে হয়েছে। পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। তবে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, নড়াইল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিসাঞ্চলের কয়েকটি জেলা এখনো পদ্মা সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তিনি জানান, মধুমতি নদীর ওপর নির্মাণাধীন ছয় লেন বিশিষ্ট কালনা সেতুর নির্মাণকাজও এ মাসে শেষ হবে। আশা করছি অক্টোবরের যে কোনো সময় প্রধানমন্ত্রী এ সেতুরও উদ্বোধন করবেন। এটি হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলার সংযোগ স্থাপন হবে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগাঁরগাও অংশের উদ্বোধন হবে ডিসেম্বরে। আগামী বছর ডিসেম্বরের আগেই মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হবে। কর্ণফুলী টানেলের দুটি টিউবের একটি অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, অন্যটির উদ্বোধন নভেম্বরে। মন্ত্রী জানান, এ বছরই আমাদের মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন হবে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর কাজ শেষ করেছি। আমার হাতে এখন ৮৭টি ছোট বড় সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পৃথিবীর বহু জায়গায় সীমান্ত সড়ক আছে, আমাদের সীমান্তে ৩০০ কিলোমিটার সড়কের কাজ সেনাবাহিনী শুরু করেছে। পাহাড় অঞ্চলের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ। পাহাড়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে, সে কারণে সেসব অঞ্চলের পণ্য দ্রুত শহরে চলে আসতে পারছে।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |