আজ শেষ হচ্ছে ১৬১ ইউনিয়ন ও ৯ পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণা
নিউজ ডেস্ক:
|
করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯ পৌরসভার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায়। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এসব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ।
এসব ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জানা গেছে, প্রথম ধাপে ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬১ ইউপিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। পাঁচটি ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা গেছেন। এ ছাড়া কক্সবাজারের একটি ইউপিতে আপাতত ভোট বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ আসে নির্বাচন কমিশনে। এজন্য ১৬১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই দিন স্থগিত থাকা ৯টি পৌরসভায়ও ভোটগ্রহণ করা হবে।
২০ সেপ্টেম্বর যেসব ইউপিতে ভোট হবে সেগুলো হলো খুলনা কয়রার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী। দাকোপের পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া ও বানিশান্তা। বটিয়াঘাটার গংগারামপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর। দিঘলিয়ার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিঘলিয়া, সেনহাটা, আড়ংঘাটা, যোগীপুল। পাইকগাছার সোলাদানা, রাড়ুলী, গড়ইখালী, চাঁদখালী, দেলুটি, লতা ও কপিলমুনি।
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের বেতাগা, লখপুর, পিলজংগ, ফকিরহাট, বাহির দিয়ামানসা, নলধা মৌভোগ ও শুভদিয়া। মোল্লাহাটের উদয়পুর, চুনখোলা, কোদালিয়া, আটজুড়ি, গাওলা ও কুলিয়া। চিতলমারীর বড়বাড়ীয়া, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী, চরবানিয়ারী, কলাতলা ও সন্তোষপুর। কচুয়ার গজালিয়া, ধোপাখালী, মঘিয়া, গোপালপুর, রাড়ীপাড়া ও বাধাল। রামপালের গৌরম্ভা, বাইনতলা, হুড়কা, মল্লিকের বেড়, বাঁশতলী, উজলপুর, রামপাল, পেড়িখালী ও ভোজপাতিয়া। মোংলার চাঁদপাই, বুড়িরডাংগা, চিলা, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও সুন্দরবন। মোড়েলগঞ্জের পঞ্চকরন, দৈবজ্ঞহাটী, চিংড়াখালী, হোগলাপাশা, বনগ্রাম, বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, বহরবুনিয়া, নিশানবাড়ীয়া, মোড়েলগঞ্জ, তেলিগাতী, পুটিখালী, রামচন্দ্রপুর, জিউধরা, বারইখালী। শরণখোলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা, সাউথখালী। বাগেরহাট সদরের বারুইপাড়া, বেমরতা, বিষ্ণুপুর, ডেমা, কাড়াপাড়া, খানপুর ও রাখালগাছি।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার কয়লা, হেলাতলা, যুগীখালী, জয়নগর, জালালাবাদ, লাঙ্গলঝাড়া, কেঁড়গাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর ও দেয়াড়া। তালার ধানদিয়া, তেঁতুলিয়া, তালা, ইসলামকাটি, মাগুরা, খেসরা, জালালপুর, খলিলনগর, নগরঘাটা, সরুলিয়া ও খলিষখালী।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবাটা, চরক্লার্ক, চরওয়াপদা, চর আমানউল্যাহ, পূর্বচরবাটা ও মোহাম্মদপুর। হাতিয়ার মুছাপুর, চরহাজারী। হাতিয়ার চর ঈশ্বর, চরকিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা ও নিঝুমদ্বীপ।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, আমানউল্ল্যা, হরিশপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, মুছাপুর, মাইটভাঙ্গা, সারিকাইত, মগধরা ও হারামিয়া।
কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক, মাতারবাড়ী ও কুতুবজোম। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপ, দক্ষিণধুরং, কৈয়ারবিল, লেমশীখালী ও উত্তরধুরুং। পেকুয়ার টেটং। টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, টেকনাফ ও হোয়াইক্যং।
এ ছাড়া ২০ সেপ্টেম্বর যে ৯ পৌরসভা নির্বাচন হবে সেগুলো হলো কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কবিরহাট, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে যশোরের নওয়াপাড়া এবং চট্টগ্রামের বোয়ালখালী।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২০ সেপ্টেম্বর দেশের ৬টি জেলার ২৩টি উপজেলার ১৬১ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনী এলাকায় কোনও সাধারণ ছুটি থাকছে না। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। এছাড়া ভোট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণ নাগরিকরা ছুটি নিতে পারবেন।
সূত্র আরো জানায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হয়। সে হিসেবে ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত ১২টায় প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে। এই সময়ের পর প্রার্থী বা সমর্থকদের কেউ কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে পারবে না।
রাজনীতি/জেএস
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |