আজমির শরীফে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর (রহ.) মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
|
ভারতের আজমির শরীফে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর (রহ.) মাজার জিয়ারত আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দেশটিতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর সমাপ্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজমির শরীফে সেখানে নফল নামাজ ও মুনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ কামনা করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় থাকেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ ও মুনাজাত করেন। এরপর শেখ হাসিনা আজমির শরীফ প্রদক্ষিণ করেন।’ প্রধানমন্ত্রী ৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেখানে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংর্বধনা দেয়া হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লীতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর ভারত সফর শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। সফরের দ্বিতীয় দিন ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রধানমন্ত্রী দুদেশের যৌথ উদ্যোগে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। পরে যৌথ বিবৃতিতে ভারত বাংলাদেশি পন্য তৃতীয় কোনো দেশের রপ্তানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয়। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একই দিন শেখ হাসিনা তাঁর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যহ্নভোজে যোগ দেন। তিনি ওইদিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। সফরের তৃতীয় দিন ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাত করেন। একইদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |