আওয়ামীলীগের প্রত্যাশা ১০ লাখ লোক উপস্থিতির পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে
নিউজ ডেস্ক:
|
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বেলা ১১টায় কাঁঠালবাড়ি প্রান্তে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। এতে ১০ লাখের বেশি লোক সমাগমের প্রত্যাশা করছে দলটি। জনসভাটি সফল করতে গতকাল বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সমন্বয় বৈঠকে নেতারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দেশের মানুষের স্বপ্নের কোনো শেষ নেই। তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বেলা ১১টায় পদ্মার পাড়ে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে আমাদের জনসভা শুরু হবে। জনসভায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা ও ঢাকার আশপাশের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হবে। এই জনসভা সফল করতে আজ (বুধবার) আমাদের আলোচনা হয়েছে। আশা করছি লাখো মানুষের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে জনসভাটি বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এই জনসমুদ্র হবে উৎসবের জনসমুদ্র। তিনি জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান থাকবে আওয়ামী লীগের। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। এক প্রশ্নে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পদ্মা সেতু সারাদেশের মানুষের আকাক্সক্ষা। এটি নিয়ে যদি কেউ কোনো নীলনকশা করে থাকে তাহলে দেশের জনগণই তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে এবং তাদের প্রতিহত করবে। কেউ এটি নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারবে না। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন আমাদের জন্য খুবই আনন্দের ব্যাপার। এই সেতু আমাদের দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির শেকড়। এর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে। এর উদ্বোধন আমাদের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষজন আসবে। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগ থেকে লোকজন আসবে। তাই আমরা জনসভার আগে সেসব অঞ্চলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে মিটিং করব। আমাদের চিফ হুইপের নির্বাচনী এলাকা শিবচরে এই মিটিংয়ের আয়োজন করব। বৈঠকে আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, আফজাল হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |