অনলাইনে ট্রেনের টিকিট মিলবে ২৬ মার্চ থেকে
নিউজ ডেস্ক:
|
পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর আগামী শনিবার (২৬ মার্চ) থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। রেলওয়ের অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেয়েছে সহজ লিমিটেডের নেতৃত্বে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি। রেলওয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের পরবর্তী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত তথ্য বুঝে নিয়ে দেশের সব রেলওয়ে স্টেশনে অনলাইন কার্যক্রম শুরু হবে। চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে নতুন ইন্টিগ্রেটেড টিকিটিং সিস্টেম ডিজাইন ও উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু জানা গেছে, টিকিটিংয়ের কাজ যথাসময়ে চালুর লক্ষ্যে গত ১৫ বছরের চলমান সফটওয়্যারের আদলে নতুন একটি সল্যুশন মাত্র ২১ দিনে তৈরি করেছে সহজ। এছাড়াও সহজ জেভি ইতোমধ্যে, নতুন টিকিটিং সল্যুশন তৈরির পাশাপাশি হার্ডওয়্যার ইন্সটল করা, টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা কর্মরত কর্মীদের দক্ষতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং রেলওয়ে টিকিট পরিচালনা-সংক্রান্ত লজিস্টিক সামলানোর মতো কাজ সম্পন্ন করেছে। এর আগে রেলের টিকিট সিএনএসের নিজস্ব সাইটের মাধ্যমে বিক্রি হলেও এবার সরাসরি রেলওয়ের নিজস্ব সাইট (www.eticket.railway.gov.bd) থেকে টিকিট মিলবে। রেলওয়ের সাইট থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রিসহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে সহজ। তবে আপাতত টিকিট কেনার জন্য মিলছে না অ্যাপসের সেবা। উল্লেখ্য, অনলাইন টিকিট সিস্টেমে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ১০ কোটিরও বেশি বাস ও লঞ্চ টিকিট পরিচালনা ও বিক্রি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সহজের। এর আগে ১৪ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘদিন রেলের টিকিটিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সিএনএস লিমিটেড। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজের সঙ্গে রেলওয়ে টিকেটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছে। তারা ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকিটিংয়ের কাজ শুরু করবে। ২০ মার্চ পর্যন্ত সিএনএস লিমিটেড ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকিটিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এরপর ২১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সিএনএসের কাছ থেকে সবকিছু বাংলাদেশ রেলওয়ে বুঝে নেবে। এই সময়টাতে অনলাইন টিকিটিং কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। রেলওয়ে সূত্র মতে, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটারভিত্তিক টিকেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা শুরু হয়। বর্তমানে ১০৪টি আন্তনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এ সব টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইন/মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। সিএনএসের পর সহজ লিমেটডও মোট টিকিটের ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি করবে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |