২০০৭ সাল থেকে এসিআই মটরস বাাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। এসিআই মটরসের ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার দিয়ে দেশের তিন ভাগের এক ভাগ জমি চাষ হচ্ছে। এসিআই মটরসের এই কৃষি যান্ত্রিকীকরণে যাত্রা শুরু হয় সোনালিকা ট্রাক্টর দিয়ে। বর্তমানে সোনালিকার ২৩ হাজারের বেশি সন্তুষ্ট গ্রাহক রয়েছে। 

কয়েক বছর ধরে সোনালিকা ট্রাক্টর বাংলাদেশের ট্রাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। এই অর্জনের অন্যতম প্রধান কারণ এসিআই মটরসের ৬ ঘণ্টা সার্ভিসের নিশ্চয়তা, যা নিশ্চিত করেছে সর্বোপরি গ্রাহক সন্তুষ্টি। 

প্রতি বছরের মতো গ্রাহকের জন্য এসিআই মটরস আয়োজন করেছে বার্ষিক সার্ভিস ক্যাম্পেইন ও মতবিনিময় সভা, যা সোনালিকা গ্রাহকদের জন্য একটি মিলনমেলা। এই সার্ভিস ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ট্রাক্টর মালিক, ড্রাইভার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকেন। আর সোনালিকা সার্ভিস ক্যাম্পেইন তাদের কাছে একটি উৎসবের মতো। সার্ভিস ক্যাম্পেইন-এ ফ্রি সার্ভিসের পাশাপাশি তারা ট্রাক্টর সম্পর্কে তাদের মতামত দেন, যার ওপর ভিত্তি করে এসিআই মটরস্ গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে আরও সচেতন হয়। আসন্ন কৃষি মৌসুমের জন্য গ্রাহকদের ট্রাক্টর প্রস্তুত নিশ্চিত করাই হচ্ছে এই সার্ভিস ক্যাম্পেইনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতেই আয়োজিত হচ্ছে সোনালিকা সার্ভিস ক্যাম্পেইন ও মত বিনিময় সভা। এই সার্ভিস ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে গ্রাহকরা যে শুধু ফ্রি সার্ভিস পাচ্ছেন তাই নয়, গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ফ্রি স্বাস্থ্য পরীক্ষা, গেম শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই সার্ভিস ক্যাম্পেইন এ সকাল থেকেই থাকবে প্রোডাক্ট ডিসপ্লে আর আপ্যায়নের সু-ব্যবস্থা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গেম শো ও গ্রাহক ফিডব্যাক এর ওপরেও থাকছে বিভিন্ন পুরস্কার।

এবছরের প্রথম সার্ভিস ক্যাম্পেইন আয়োজিত হয়েছে কুমিল্লা জেলার চান্দিনায়। যেখানে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৩০০ এর বেশি গ্রাহক এবং ৭০টির বেশি ট্রাক্টরকে সার্ভিসিং করা হয়। এছাড়াও ডেলিভারি দেওয়া হয় ১০টি নতুন সোনালিকা ট্রাক্টর। এই ক্যাম্পেইনে গ্রাহকদের সুবিধা বাড়াতে সোনালিকার নতুন বছরের ওয়ারেন্টি পলিসি ও গ্রাহকদের যথাসময়ে তথ্য ও সার্ভিস সুবিধার্থে ‘সমৃদ্ধি অ্যাপ’ নামে নতুন অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।

এই সার্ভিস ক্যাম্পেইন এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই মটরস্ এর নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিআই মটরস্ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিলার, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীরা।

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা