শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত মূল্যসূচকের বড় পতন
নিউজ ডেস্ক:
|
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসই-সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। অবশ্য দাম কমা ও বাড়ার তালিকার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। প্রায় অর্ধেক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অপরিবর্তিত। এর মধ্যেই দুই বাজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বেড়ে ১৮’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এক’শ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে দাম বাড়ার তালিকা ছোট হলেও লেনদেন শুরুর চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম ৪০ মিনিটজুড়েই অব্যাহত। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু শেষ দুই ঘণ্টার লেনদেনে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। ফলে সূচকের বড় উত্থান দেখতে দেখতে বড় পতনে রূপ নেয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৭টির। আর ১৬০টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৪৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১১৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৯৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিক হোটেল। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডিকম অনলাইন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, ইস্টার্ন হাউজিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৬১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৩টির এবং ৮৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |