বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রেইনট্রি হোটেলে ২ শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় পেছাল
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৩৯ দুপুর | অনলাইন সংস্করণ

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ২ শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় পেছাল। রায় ঘোষণার জন্য এখন পর্যন্ত নতুন কোনো তারিখ ধার্য করেননি আদালত।

 

আজ মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ আদেশ দেন।

 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

ধর্ষণের ওই ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে রায় ঘোষণার কথা ছিল।

 

এর আগে গত ৩ অক্টোবর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে এদিন জামিনে থাকা পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

 

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় মোট ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ওই বছরের ১৩ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শফিউল আজম পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।

 

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার অন্য তিন আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধেও একই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ওই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়।

 

পরে সাফাত তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুই শিক্ষার্থীকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানালে তারা সম্মত হন। আমন্ত্রণ জানানোর সময় তাদের বলা হয়েছিল, বড় অনুষ্ঠান হবে, অনেক লোকজন থাকবে। ঘটনার রাতে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী দুই শিক্ষার্থীকে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা অন্য কোনো লোকজন দেখতে পাননি।

 

তবে অন্য দুই তরুণীকে সাফাত ও নাঈম হোটেলের ছাদ থেকে নিচে নিয়ে যেতে দেখতে পান তারা। কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না দেখে তারা চলে যেতে চাইলেও আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। পরে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে বাদী ও তার বান্ধবীকে হোটেলের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। এ সময় সাফাত তার গাড়িচালককে ধর্ষণের মুহূর্ত ভিডিও ধারণ করতে বলেন। বাদীকে মারধর করেন নাঈম আশরাফ।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ