বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাশেদ সীমান্ত ও ডা. এজাজের কর্মফল
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:১৪ দুপুর | অনলাইন সংস্করণ
আবার বৈশাখী টিভি পর্দায় দেখা যাবে ভিন্ন এক রাশেদ সীমান্তকে। ১ অক্টোবর শুকবার রাত সাড়ে ৮টায় নতুন নাটক নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। এই প্রথম করোনা মহামরি নিয়ে নির্মিত কোনো নাটকে অভিনয় করলেন তিনি। নাটকের নাম ‘কর্মফল’। আল হাজেনের পরিচালনায় নাটকটি লিখেছেন বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। প্রযোজনা মিড এন্টারপ্রাইজ। রাশেদ সীমান্ত ছাড়াও এ নাটকে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শামীমা নাজনীন, তানজিকা আমিন, ডা. এজাজ, রিমি করিমসহ আরো অনেকে।
 
নাটক নিয়ে বলতে গিয়ে লেখক টিপু আলম মিলন বলেন, ‘মা বাবা আর একমাত্র বোন নিয়ে সুখের সংসার সুমনের। বাড়ির সবাই জীবন সম্পর্কে সচেতন হলেও সুমন একটু বেখেয়ালি। এক রকম বাউণ্ডুলেই বলা যায় তাকে। এলাকার চৌরাস্তার মোড়ে চায়ের দোকান, যার মালিক ডা. এজাজ। এই দোকানকে ঘিরেই চলে বন্ধুদের নিয়ে সুমনের আড্ডা, হৈচৈ আর হৈ-হল্লা। হঠাৎ করেই করোনা মহামারি আঘাত হানে পুরো দেশে। তা ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। সুমনদের গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করলেও কোনো বালাই নেই তাদের। এসব নিয়ে তারা হাসি তামাশা করে। তাদের সাথে যোগ দেয় দোকানদার ডা. এজাজ। সুমনের কোনো বন্ধু হয়তো মাস্ক ব্যবহার করলো তো শুরু হলো তার প্রতি নির্যাতন, জরিমানা। এ নিয়ে মা-বাবা ও বোনের সাথেও দ্বন্দ্ব হয়। করোনা বিষয়টিকে একেবারেই উড়িয়ে দেয় সুমন। একদিন প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হন সুমন। কিন্তু বিষয়টি সবার কাছে লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু খাবার টেবিলে কাশির শব্দে অবাক হয় সবাই। এক রকম আতঙ্ক কাজ করে তাদের মাঝে। এতে প্রচণ্ড বিরক্ত সুমন খাবার না খেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। শেষে যা হবার তাই হয়। এক করুণ পরিণতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় নাটকের কাহিনি। সুমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত।’
 
উল্লেখ্য, গত ঈদুল আজহার ৪টি নাটকে অভিনয় করে দারুণভাবে প্রশংসিত হন। নাটক ৪টি হলো- রোমান রনির পরিচালনায় ‘হাটা জামাই’, মিলন ভট্ট’র রচনা ও পরিচালনায় ‘নয়ন তারা স্টোর’, তারিক মুহাম্মদ হাসানের রচনা ও পরিচালনায় ‘ভাইয়ের সাথে একান্ত আলাপে’ এবং আল হাজেন পরিচালিত ‘প্রবাসী টাকার মেশিন’।
রাশেদ সীমান্ত হাতে গোনা যত নাটকে অভিনয় করেছেন তার প্রতিটিই দর্শক প্রশংসায় শীর্ষে রয়েছে। তার কোনো কোনো নাটকের ভিউ কোটির ঘরে। অতি অল্প সময়ে এত জনপ্রিয়তা টিভি নাটকে অন্য কোনো অভিনেতার বেলায় দেখা যায়নি বললেই চলে।
 
সৌখিন অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত পেশাগত জীবনে বৈশাখী টেলিভিশনের মার্কেটিং ইনচার্জ। দেশ-বিদেশের আপামর বাঙালি দর্শকদের ভালোবাসার কারণেই আজ তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেতার পরিচয় পেয়েছেন। যে কারণে তার অভিনয়ের প্রশংসা এখন হাটে-মাঠে-ঘাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। রাশেদ সীমান্ত বলেন, এটা আমার পরম পাওয়া। সকলের ভালোবাসা নিয়ে এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।
« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ