প্রোবায়োটিক–সমৃদ্ধ খাবার
প্রোবায়োটিক বৃহদন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এতে যেকোনো খাবার দ্রুত হজম হয়। হজমশক্তিও বাড়ে। প্রোবায়োটিক–সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে ডায়েটে রাখতে পারেন দই, কেফির, কিমচির (গাঁজন করা সবজি) মতো খাবারগুলো।
হোল গ্রেন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোল গ্রেন (খোসাযুক্ত শস্য বা গোটা শস্য) খেলে দ্রুত পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি তৈরি হয়। ফলে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার সমস্যা কমে। পাশাপাশি হোল গ্রেনে থাকে ভিটামিন ই, জিঙ্ক ও নিয়াসিনের মতো উপাদান; যা ক্যানসার ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার আশঙ্কা কমাতে সহায়তা করে।
রঙিন ফলমূল
খাবার গ্রহণের এক ঘণ্টা পর রঙিন ফল খাওয়ার অভ্যাস খাবার দ্রুত হজমে সহায়তা করে।
দারুচিনি
দারুচিনি হজমশক্তির জন্য অনেক ভালো একটি মসলা। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে থাকে এবং গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। এক কাপ পানিতে আধা চা–চামচ দারুচিনিগুঁড়া মেশান। কয়েক মিনিট সেটি সেদ্ধ করুন। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করতে পারেন।
পুদিনাপাতার রস
প্রতিদিন পুদিনাপাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন। পুদিনাপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস; যা পেটের যেকোনো সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করতে পারে। পেটের সমস্যা সমাধানে খাবার খাওয়ার পর এক কাপ পুদিনাপাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। ছয় থেকে সাতটি তাজা পুদিনাপাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মেশালেই এ চা তৈরি হয়ে যায়।
আদা
গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া সমাধান হলো আদা খাওয়া। প্রতি বেলায় খাবার খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খান। তাহলে পেটে গ্যাস জমবে না ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে। যাঁরা আদা সরাসরি খেতে পারেন না, তাঁরা রান্নায় বেশি করে আদা ব্যবহার করুন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা