প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানলে জেন্ডার বৈষম্য কমবেঃ দীপু মনি
নিউজ ডেস্ক:
|
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম বড় বিষয় হচ্ছে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে জানা। যখনই যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনভাবে মানুষ জানবে, তখন একে অপরের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না। পারস্পরিক সৌহার্দ্যের মাধ্যমে, শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে একসঙ্গে মিলে সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে জেন্ডার বৈষম্য কমে যাবে এবং সুস্থ ও উন্নত সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) নিয়ে আয়োজিত জাতীয় কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সঠিক তথ্য যদি সঠিকভাবে কিশোর-কিশোরীদের কাছে পৌঁছানো যায়, তাহলে অনেক সমস্যা থেকে তাদের দূরে রাখা যায়। বিশেষত ১৩-১৪ বছরের মতো বালাই আর নেই। এ সময়টায় কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক, মানসিক পরিবর্তন আসে। অথচ এ পরিবর্তনগুলো জানা নেই। আগে বাবা-মায়েরা বলতেন না, বয়সন্ধিকালীন চ্যাপ্টার শিক্ষকরা পড়াতেন না, বলতেন পড়ে নিও। তিনি বলেন, এ বয়সে একটা রূপান্তর ঘটে। নানা রকম বোধ হতে থাকে। কখনো খারাপ লাগে, কখনো ভালো লাগে। এ সময় নিয়ে মানুষ এখনো সচেতন নয়। এ সময়ে নিজেদের মধ্যে অনেক রকম ভুল-ভ্রান্তি এসে জমা হয়। শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মানসিকভাবে তো বটেই। কিশোর-কিশোরী জীবনের ভুলভ্রান্তিগুলো পরবর্তী জীবনেও যায়। ফলে জেন্ডার বৈষম্যের সৃষ্টি হয়, নানা নির্যাতনের ঘটনাও ঘটে। তিনি বলেন, জেন্ডার বৈষম্যের কারণে জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আমরা অনেক সময় মনে করি, যৌন নির্যাতন শুধু নারীর ওপরই ঘটে। কিন্তু তা নয়, এটি পুরুষের ওপরও ঘটে। নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে কিশোরদের ওপর নির্যাতন ঘটে। যদি না জানা থাকে, তাহলেই কেবল কিশোর-কিশোরী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। কারণ সে জানে না সে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না। নির্যাতন কি না সেটা যেমন সে জানে না, নির্যাতনের শিকার হলে কী করতে হবে, তাও সে জানে না।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |