বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে চমক সেই কলেজের
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২, ০৫:২২ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ

মেডিকেল, বুয়েট, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে চমক দেখানোর পর এবার প্রকৌশল গুচ্ছেও অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানটি হলো নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। এই কলেজের ৩৫ শিক্ষার্থী এবার প্রকৌশল গুচ্ছে (চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

১১ আগস্ট প্রকৌশল গুচ্ছে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ বা লেভেল-১ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের ৩৫ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন ছেলে ও ১০ জন মেয়ে।

চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) মোট ২৬৮ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ২৬৫ জন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৪৯ জন। এ ছাড়া এই ব্যাচ থেকে ১৬ শিক্ষার্থী বুয়েটে, ৩৯ শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা এক ধরনের সেতুবন্ধন তৈরি করি। ক্লাসরুমেই সম্পূর্ণ পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীদের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা মাথায় রাখা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি কোনো চাপ দেওয়া হয় না।

গোলাম আহমেদ ফারুক, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। বরাবরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় এই কলেজের শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। এ বছর চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে ১ ব্যাচের ৩৫ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া এই ব্যাচ থেকে এ বছর ৩৯ জন মেডিকেলে, ১৬ জন বুয়েটে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত।’

 

গোলাম আহমেদ ফারুক আরও বলেন, ‘আমরা এখানে শিক্ষার্থীদের গ্রিন-ক্লিন লার্নিং পদ্ধতিতে পড়ানোর চেষ্টা করি। এতে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা ও মননশীলতা বৃদ্ধি পায়। এ কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত স্বচ্ছ। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই কলেজে পড়ার সুযোগ পান। কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা এক ধরনের সেতুবন্ধন তৈরি করি। ক্লাসরুমেই সম্পূর্ণ পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীদের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা মাথায় রাখা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি কোনো চাপ দেওয়া হয় না।’

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের পূর্বের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে রাখে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ