তুরস্কে পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক হ্রাসের আহ্বান ব্যবসায়ীদের
নিউজ ডেস্ক:
|
সিরামিক ও তৈরি পোশাক পণ্যসহ তুরস্কের বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধিতে শুল্ক হার কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মেহমুদ মুস-এর সাথে দেখা করে এমন দাবি জানান। ২ অক্টোবর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সাক্ষাতকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৯০০ মিলিয়ন ডলারের হলেও, তা এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কর ও শুল্ক প্রতিবন্ধকতা নিরসনের মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। তিনি বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত সিরামিক ও তৈরি পোশাক তুরস্কের বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৯ ও ১৭ শতাংশ হারে শুল্ক প্রদান করতে হয়। এ সময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অধিকতর সম্প্রসারণে দুদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যকার যোগাযোগ আরও সম্প্রসারণ এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য তুরস্কের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। অন্যদিকে দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও আশানুরূপ নয় বলে উল্লেখ করে তুরষ্কের বাণিজ্য মন্ত্রী ড. মেহমুদ মুস বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো উন্নয়নে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি উৎকৃষ্ট গন্তব্যস্থল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, তুরস্কের বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে সফলভাবে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে এবং তুরষ্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের সাফল্য আরও প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে। এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বিটুবি ম্যাচ-মেকিং, পণ্য প্রদর্শনী, সেমিনার ও আলোচনা এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক আয়োজনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। বৈঠকে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানও উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |