বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জেমসের জন্মদিনে বিভিন্ন জেলায় দোয়া মাহফিল
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৭:৪৮ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ

২ অক্টবর শনিবার বাংলাদেশের নগর বাউল খ্যাত মাহফুজ আনাম জেমসের জন্মবার্ষিকী । এদিন ৫৭ বছর পূর্ণ করে ৫৮তে পা রাখছেন তিনি। দিনটি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করছেন তার ভক্তরা। জন্মদিনে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে  তারা।

প্রতি বছরেই জেমসের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ভক্ত অনুরাগীরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ সহ ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষকে খাবার দেন। এবারও হচ্ছে না তার ব্যতিক্রম। জেমস-এর মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানান, প্রতি বছরেই দেশের বিভিন্ন জেলার ভক্তরা জেমস ভাইয়ের জন্মদিনটি উদযাপনে নানা আয়োজন করে থাকেন। এবারও এরকম বেশকিছু উদ্যোগের কথা জেনেছি।

বিভিন্ন জেলার 'দুষ্টু ছেলের দল' নামে জেমসের ভক্তরা এবার সারা দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন রেখেছে। এরমধ্যে ঢাকা, খুলনা, যশোর, নরসিংদী, রংপুর, মেহেরপুর, কুড়িগ্রাম, ভোলা পটুয়াখালী, কিশোরগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় জেমসের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ কামনায় মসজিদ/মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন মিলনমেলায় দোয়ার আয়োজন রখেছে। কেক কেটে সুবিধাবঞ্চিতদের সাথে নিয়ে রেখেছে গান ও আড্ডার আয়োজন।

কিশোরগঞ্জ সহ বেশকিছু জায়গায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে জেমস ভক্তদের গ্রুপ ‘দুষ্টু ছেলের দল’। রকস্টার জেমসের জন্ম ১৯৬৪ সালে, নওগাঁয়। বেড়ে ওঠা এবং সংগীতে জড়িয়ে পড়ার পুরোটাই চট্টগ্রামে। নগর বাউল জেমসের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরিবারের একরকম দ্বিমতে সংগীতচর্চা শুরু করেন জেমস। একসময় তিনি সংগীতের জন্য ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। উঠেন চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং-এ। সেখানে থেকেই তার সংগীতের মূল ক্যারিয়ার শুরু হয়। জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। ১৯৮৭ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের একক অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান জেমস।

এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো প্রকাশ পায়। এরপর ‘ফিলিংস’ ভেঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। এই ব্যান্ড ‘দুষ্টু ছেলের দল’ এবং ‘বিজলি’ অ্যালবাম দুটির মধ্যেই আটকে যায়।

জেমসের উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টেশন রোড (১৯৮৭), জেল থেকে বলছি (১৯৯০), নগর বাউল (১৯৯৬), লেইস ফিতা লেইস (১৯৯৮), কালেকশন অফ ফিলিংস (১৯৯৯), দুষ্টু ছেলের দল (২০০১) প্রভৃতি। জেমসের গাওয়া একক অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে অনন্যা (১৯৮৮), পালাবি কোথায় (১৯৯৫), দুঃখিনী দুঃখ করোনা (১৯৯৭), ঠিক আছে বন্ধু (১৯৯৯), আমি তোমাদেরই লোক (২০০৩), জনতা এক্সপ্রেস (২০০৫), তুফান (২০০৬), কাল যমুনা (২০০৯)।

২০০৪ সালে কলকাতার সংগীত পরিচালক প্রিতমের সঙ্গে গান নিয়ে কাজ করেন জেমস। ২০০৫ সালে বলিউডে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া ভিগি ভিগি গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এক মাসেরও বেশি সময় গানটি বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল। ২০০৬ সালে আবারো বলিউডের ছবিতে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রো চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুইটি হল রিশতে এবং আলবিদা। আর তাতেই বাজিমাত।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ