ছিনতাইয়ে বাধা দেয়াতেই বুলবুল হত্যা
নিউজ ডেস্ক:
|
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দন্ত চিকিৎসক বুলবুল আহমেদকে খুনের ঘটনায় চারজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার সকালে মিরপুর, পল্লবী ও সাভারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চারজনকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আকতার তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। গ্রেপ্তার চারজন হলেন: রায়হান (২৭), রাসেল (২৫), আরিয়ান (২৩), সোলায়মান (২৩)। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের কথা জানানো হয় পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে। হাফিজ আকতার বলেন, 'গ্রেপ্তার চারজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের দলে মোট পাঁচজন ছিল। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ২৭ মার্চ ভোরে শেওড়াপাড়া এলাকায় ওঁত পেতেছিল এবং তারা টার্গেট করে বুলবুলকে।' এসময় বাঁধা দিলে ছিনতাইকারীরা বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোন নিয়েই পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে ডাক্তার বুলবুল ছিনতাইয়ে বাঁধা দেয়ায় ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এতে ব্যবসায়িক ও ঠিকাদারি নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব নেই বলেও জানান তিনি। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রায়হান ও রাসেল মাস দুয়েক আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো ছিনতাই শুরু করেন। গত রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়াপাড়ায় মেট্রোরেলের ২৭৮ নম্বর পিলারের কাছে ছুরিকাহত হন বুলবুল। তাকে প্রথমে ওই এলাকার আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা না পাওয়ায় নেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ৩৮ বছর বয়সী বুলবুল দন্ত চিকিৎসক হিসেবে মগবাজারে ‘রংপুর ডেন্টাল’ নামের একটি চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। পাশাপাশি গত পাঁচ বছর ধরে ‘মেসার্স রংপুর ট্রেডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও চালাতেন৷ এঘটনায় বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে রোববারই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে সেখানে আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |