ই-অরেঞ্জে পাচার অর্থ ফেরত আনতে হাইকোর্টের নির্দেশ
নিউজ ডেস্ক:
|
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বণ্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কেন নয়, জানতে চেয়ে রুলও দেয়া হয়েছে। চার মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে এনে ভুক্তভোগীদের মাঝে বন্ঠনের নির্দেশও দেন হাইকোর্ট। পণ্য ডেলিভারি না দেয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ের করা এক মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে। আর ই-অরেঞ্জর অন্যতম হোতা সোহেল রানা বিদেশে পলাতক রয়েছে। এর আগে গ্রাহকদের ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি কত টাকা বিদেশ পাচার করা হয়েছে তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ এপ্রিল রিট আবেদনটি করেন ই-অরেঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত তারেক আলমসহ ৫৪৭ গ্রাহক।রোববার (৩ এপ্রিল) তারেক আলমসহ ৫ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. আব্দুল কাইয়ুম এ রিটটি করেন। এতে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের দিন ঠিক করে দেন। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা অনলাইন শপ ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই থেকে গ্রাহকরা টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ তোলেন। পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |