ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা: র্যাব
নিউজ ডেস্ক:
|
ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে মাত্র ৩০ লাখ টাকা আছে বলে জানিয়েছে র্যাব। ইভ্যালি, ই-ফুড, ই-খাতা, ই-বাজার মিলিয়ে বর্তমানে ইভ্যালির দেনা এক হাজার কোটি টাকার বেশি বলেও জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাসেল ও শামিমা দম্পতির গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কুর্মিটোলায় র্যার সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন একথা জানান।
আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা, যা গ্রাহকদের।
ইভ্যালি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একটি লোকসানি কোম্পানি উল্লেখ করে র্যাব জানায়, কোনো ব্যবসায়িক লাভ এ যাবত তিনি করতে পারেন নাই। গ্রাহকদের অর্থে যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করতেন তিনি। ক্রমে ক্রমে তার দেনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইভ্যালির সিইও রাসেল জেনেশুনে নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন উল্লেখ করে খন্দকার আল মঈন বলেন, বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা তৈরি হয় এ ধরনের পণ্যকে বেছে নেয় ইভ্যালি। যেমন- মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, এসি, মোটরবাইক, গাড়ী, গৃহস্থলীপণ্য, প্রসাধনী, প্যাকেজ ট্যুর, হোটেল বুকিং, জুয়েলারী, স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও ফার্নিচার ইত্যাদি। এসব পণ্যের মূল্য ছাড়ের ফলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানের বিশাল আকারে দায় তৈরি হয়।
র্যাব বলে, গ্রেপ্তার রাসেল ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরাতন গ্রাহক ও সরবরাহকারীর দায়ের অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। অর্থাৎ একটি দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিল ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির নেওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হতো, দায় তত বাড়ত।
এর আগে প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের জন্য গ্রাহকদের দায়েরকৃত মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে বৃহস্পতিবার এক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র্যাব পরে এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজনীতি/জই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |