দাঁতে শিরশির কারণ ও প্রতিকার
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:০৮ রাত | অনলাইন সংস্করণ
|
ঠাণ্ডা,গরম বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁত শিরশির করে। আর এই শিরশির অনুভূতি হওয়া একটি প্রচলিত রোগ। যা স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটায়। সাধারণত খালি চোখে দাঁতের যে অংশ দেখা যায়, সেটি হচ্ছে এনামেল। এটিকে দাঁতের আবরণ বলা হয়ে থাকে। আমাদের দাঁতের উপরের এনামেল হচ্ছে শরীরের সব থেকে শক্ত অর্গান। এই এনামেল যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখনই দাঁতে সেনসিটিভিটি তৈরি হয় বা শিরশির করে। তাই সেনসিটিভিটি হওয়ার কারণ আগে থেকেই জানা জরুরি। একইসাথে প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জানা দরকার। কারণঃ ১. কখনো কখনো ঠাণ্ডা, গরম বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁত শিরশির করে। ২. দাঁতের উপরের এনামেল হচ্ছে শরীরের সব থেকে শক্ত অর্গান। এই এনামেল যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখনই দাঁতে সেনসিটিভিটি তৈরি হয় বা শিরশির করে। ৩. শক্ত বড় ব্রাশ ব্যবহারের ফলে এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৪. সাধারণ খাবারের বাইরে গিয়ে কোনো বদ অভ্যাস থাকলে, এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৫. স্টিক ও আঠালো জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে, তা যদি দাঁতে দীর্ঘদিন লেগে থাকে, তখন ক্যারিজ হয়ে দাঁতে সেনসিটিভিটি হতে পারে। ৬. মাড়িতে পাথর জমে দাতেঁর নরম অংশ ওপেন হয়ে গেলে, সেনসিটিভিটি হতে পারে। প্রতিরোধঃ ১. ছোট ও নরম ব্রাশ দিয়ে নিয়ম মতো দাঁতের উপরে নিচে ব্রাশ করতে হবে। ২. খাবার খাওয়ার পরে দাঁত সঠিকভাবে পরিষ্কার করলে ক্যারিজের জন্য যে সেনসিটিভিটি হয় তা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। ৩. পান, চুইংগাম খাওয়া থেকে বিরত থাকলে দাঁতের এনামেল ভালো থাকবে এবং সেনসিটিভিটি হবে না। ৪. নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে ব্রাশ করতে হবে। এতে দাঁতে পাথর জমবে না, মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ও নরম অংশগুলো ওপেন হবে না, ফলে দাঁতের সেনসিটিভিটি হবে না। গর্ভকালীন সময় দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়ঃ নারীদের গর্ভকালীন সময় সবচেয়ে বড় সমস্যার মধ্যে একটি হলো দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া। দাঁতে প্রচণ্ড ব্যাথা হওয়া ও দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া। ১. একজন মা সন্তান ধারনের প্রস্তুতির সময় মুখের এবং দাঁতের সকল সমস্যার সমাধান করে নেয়া। যেমন: মাড়িতে ইনফেকশন থাকলে তা পরিষ্কার করে নেয়া, দাঁতে ক্যারিজ থাকলে তা রেসটোরেশন করা, দাঁতের ক্যারিজ বড় হলে এনডোডনটিকস চিকিৎসা নেয়া। এতে সন্তান যখন গর্বে আসবে এরপর শারীরিক পরিবর্তনগুলো আর মুখের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে না। ২. অন্যদিকে গর্ভধারনের পর বা মাঝামাঝি সময়ে কোনো মায়ের যদি দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়, তখন ডেন্টাল সার্জনরা এই সময়ে শুধু নাপা বা প্যারাসিটামল ছাড়া কোনো প্রেসক্রিপশন করতে পারেন না। এর ফলে গর্ভের সন্তান ও মা অনেক কষ্ট পান। সুতরাং সন্তান ধারণের প্রস্তুতি নেয়ার সময়ই মুখ ও দাঁতের চেকআপ করিয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মুখের দুর্গন্ধ হওয়ার কারণঃ মুখের দুর্গন্ধের জন্য মানুষের সামনে যাওয়া যায় না। কারো সাথে কথা বলা যায় না, মুখ খুলে হাসি দেওয়া যায় না। মূলত দুইটি কারণে এসব হয়। ১. মুখের মধ্যে বিভিন্ন অসুবিধার কারণে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। যেমন: দাঁতের মাড়িতে খাবার জমলে এই দুর্গন্ধ হয় বা দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে পাথর থাকলে দুর্গন্ধ হয়। মাড়িতে ইনফেকশন থাকলেও দুর্গন্ধ হয়। ২. স্টমাক রিলেটেড। যেমন: গ্যাস্ট্রিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলেও মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে। প্রতিরোধঃ ১. রাতে ঘুমানোর আগে সঠিক নিয়মে ছোট ও নরম ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে। ২. পাশাপাশি যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে এই সমস্যা সামধান করা গেলে পেট বা স্টমাক থেকে দুর্গন্ধ মুখে আসবে না।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭