গত সপ্তাহের শুরুর দিকে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়লে দেশ ও দেশের জনগণকে রক্ষায় সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের হাতে “বিধ্বংসী নানা ধরনের মারণাস্ত্র” রয়েছে এবং আমাদের হাতে যা আছে, তার সবই ব্যবহার করব।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি ধাপ্পাবাজি করছি না।’
পুতিনের সেই হুমকির বিষয়ে সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘দেখেন, গতকাল পর্যন্ত হয়তো তা ধাপ্পাবাজি ছিল। কিন্তু এখন এটি বাস্তবতা।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না তিনি (পুতিন) ধাপ্পাবাজি করছেন।’ জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের দুটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বা এর কাছে রাশিয়ার হামলাকে ‘আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা পারমাণবিক হুমকি হিসেবে’ বিবেচনা করা হতে পারে।
কিয়েভের অভিযোগ, যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মস্কো বারবার গোলাবর্ষণ করেছে। অতি সম্প্রতি পিভদেনউক্রেনস্কা পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে মস্কো জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু পিভদেনউক্রেনস্কা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলও বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পুতিনের হুমকিকে ইইউর গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা