হামলা-মামলা ও গুম-খুন করে আন্দোলন দমন করা যাবে না বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

বুধবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পর রাতে বন্দরনগরীতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। ভোলা ও নারায়ণগঞ্জের পর মুন্সীগঞ্জের সমাবেশেও বিএনপির নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরানো হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। দীর্ঘ একযুগ ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছে।

বিকেলের ওই সমাবেশের সহিংসতার পর রাতে চট্টগাম মহানগরীর কাজীর দেউরীর মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা, আবারও বিনা ভোটে সরকার গঠন এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করার লক্ষ্যেই মুন্সিগঞ্জের সমাবেশে হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলার ঘটনা সরকারের ধারাবাহিক অমানবিক নিপীড়ন-নির্যাতনেরই অংশ।

ডা. শাহাদাত অবিলম্বে সমাবেশে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় অচিরেই সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগের মনে ক্ষমতা হারানোর ভয় চেপে বসেছে। তাই তারা জনগণের প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্দ করে দিতে প্রশাসনের সহায়তায় সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দিয়ে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। মামলা, হামলা, নির্যাতন যত বাড়বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন তত শক্তিশালী হবে।

বিক্ষোভ মিছিলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, সদস্য কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সাবেক বিএনপি নেতা আবদুল বাতেন, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, হাসান মাহমুদ জুয়েল, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর এবং মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা