আর্থিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিঃ মার্কিন প্রতিবেদন
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৫৫ রাত | অনলাইন সংস্করণ

আর্থিক স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিক বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এটির ন্যূনতম মানদণ্ডে পৌঁছার ক্ষেত্রে এখনও ঘাটতি রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ইকোনোমিক অ্যান্ড বিজনেস অ্যাফেয়ার্সের ‘ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি ২০২২’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে।

শুক্রবার (৯ সেপ্টম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশের অবস্থা নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ৭২টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে। আর ৬৯টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেনি। তবে এ ৬৯টি দেশের মধ্যে ২৭টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

আর্থিক স্বচ্ছতার এ প্রতিবেদন সরকার কীভাবে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে সংগৃহীত কর রাজস্ব খাতে ব্যয় করে নাগরিকদের তা জানায়। এটিকে কার্যকর সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থবছরের প্রতিবেদনে ঋণ বাধ্যবাধকতা তথ্য সর্বজনীনভাবে উপস্থাপিত ছিল। সরকারের বাজেট নথিগুলো প্রাকৃতিক সম্পদের রাজস্বসহ সরকারের পরিকল্পিত ব্যয় এবং রাজস্ব প্রবাহগুলো একটি যুক্তিসঙ্গতভাবে সম্পূর্ণ রূপ দেয়। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগে আর্থিক বরাদ্দ ও উপার্জনগুলো সর্বজনীনভাবে উপস্থাপিত বাজেট নথিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এতে আরও বলা হয়, বাজেট প্রণয়নে ও আলোচনায় জনসাধারণের মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়। সরকারের বাজেট প্রণয়ন ও নির্বাহী বাজেটের তথ্য অনলাইনসহ জনসাধারণের জন্য মুক্ত রাখা হয়। বাজেটে দেওয়া তথ্য সাধারণত নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু বাজেট নথিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হিসাব পর্যালোচনা করেছে। কিন্তু প্রতিবেদনগুলোতে সারগর্ভ ফলাফল ছিল না এবং একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ করা হয়নি। সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেনি বলেও জানানো হয় মার্কিন প্রতিবেদনে।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার আইন বা প্রবিধান নির্দিষ্ট করেছে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ চুক্তি ও লাইসেন্স প্রদানের জন্য মানদণ্ড ও পদ্ধতিগুলো বাস্তবে অনুসরণ করতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ পুরস্কারের মৌলিক তথ্য জনসাধারণের জন্য ধারাবাহিকভাবে উপলব্ধ করা হয়নি।

বাংলাদেশের আর্থিক স্বচ্ছতা উন্নত করতে সুপারিশ

১) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বাজেট নথি প্রস্তুত করা।

২) নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মান পূরণ করা এবং তাদের পর্যাপ্ত সম্পদ নিশ্চিত করা।

৩) যথাসময়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা, যাতে মূল অনুসন্ধান, সুপারিশ এবং বর্ণনা থাকবে।

৪) প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ পুরস্কার সম্পর্কে মৌলিক তথ্য ধারাবাহিক ও সর্বজনীনভাবে উপস্থাপন করা।

৫) যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বছর শেষে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 


প্রকাশক : মো: মিরাজুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক: শফিকুল ইসলাম

© ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আজ বাংলা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।

ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com

বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭