বেশি খেলাখেলি করবেন না, অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং জমা দেইনিঃ রুহুল আমিন
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:০২ রাত | অনলাইন সংস্করণ
|
বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, গুম, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচারসহ চার দফা দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘মায়ের কান্না’ প্রতিপাদ্যে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, খন্দকার মুশতাক ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করলেন। মানুষ হত্যা করে তার বিচার করা যাবে না, সংসদে এই পদ্ধতি এনেছেন জিয়াউর রহমান। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। তার সেই দল বিএনপি আজ গুম-হত্যার কথা বলে। তিনি বলেন, বিএনপির দুই নেত্রী রুমিন ফারহানা ও আফরোজা আব্বাস খেলার ঘোষণা দিয়েছিল। আপনাদের খেলার দরকার নেই। বেশি খেলাখেলি করবেন না, অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং জমা দেইনি। আমরা এখনো বড় বড় অস্ত্র চালাতে পারি। সন্তানদের সাত দিনের ট্রেনিং দিয়ে... ৩০ সেকেন্ডে মানুষ হত্যা করার ট্রেনিং আছে আমাদের। আমি সেই ট্রেনিং দেওয়া লোক। প্রয়োজনে সেই ট্রেনিং শুরু করে দেব। অনেক কথা বলেছেন, অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন, আপনাদের সাবধান করে দিতে চাই। আমরা কিন্তু খেলোয়াড়, কঠিন খেলোয়াড়। রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে, যেসব ছেলেপেলে বাসায় কাজ করতো, তারা পরে বিএনপির নেতা হয়েছে; তাদের সাথে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা টকশো করে। তাদের নাম বলতে চাই না। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে তাদের আহ্বান জানাব, স্বাধীনতাবিরোধী কোনো বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত যারা জঙ্গিবাদ এ দেশে কায়েম করেছে, তাদের দলের কোনো নেতার সাথে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা টকশো করতে পারে না। টকশো করতে হলে স্বাধীনতার পক্ষের লোকের সাথে করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই শাহবাগ আমাদের ছিল, আছে। আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ শাহবাগে ও রাজপথে থাকবে। প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের ওপর পা দিয়ে। তাই তাদের এ দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে আমার বাবাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এসব করা হয়েছে। আমার বাবাসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। সিপাহী বিপ্লবের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়। ৪ মাস তাদের এক পোশাকে অন্ধকার কারাগারে রাখা হয়। তাদেরকে আলোর মুখ দেখতে দেওয়া হয়নি। এরপর আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার বাবা মুক্ত হন। তাই বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য বিনীতভাবে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মঞ্চের উপদেষ্টা ভাস্কর রাশা, সম্প্রীতি বাংলাদেশর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দীন জালাল ও বিএনপির নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমা রাণী শীল প্রমুখ।
নিউজ ডেস্ক। দৈনিক আজবাংলা
|
ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭