দেশে টাকা কামিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানো দায়িত্ব নয়ঃ পরিকল্পনামন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৩০ রাত | অনলাইন সংস্করণ

দেশে টাকা কামিয়ে অনেক টাকার মালিক হয়ে বিদেশে পাড়ি না জমানোর পক্ষে নিজের মতামত দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেছেন, আমাদের অনেকে টাকা কামিয়েছে, টাকা বানিয়েছে। দুটো কথাই ঠিক আছে। এটা লুকানোর কী আছে? তবে দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্বও রয়েছে। টাকা কামিয়ে তা নিয়ে বিদেশ চলে যাওয়া দায়িত্ব নয়, বরং উপার্জিত অর্থ নিয়ে দেশে বসবাস করাই আমাদের দায়িত্ব।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘কোভিডের প্রকোপ কমেছে, বাল্যবিবাহ কি কমবে’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, সমাজের অগ্রযাত্রায় সুশীল সমাজ যেসব নসিয়ত আমাদের দেয় তা অনেকাংশে মেলে না। আমি গ্রামে হাওরাঞ্চলে প্রায়ই যাই। আমাদের অনেক প্রতিবেশী-আত্মীয় গ্রামে বসবাস করে। আমি গ্রামের বাজারে বসি, প্রতিবেশীর বাসায় বসি, খাই, গল্প করি। তাদের ডিমান্ডের যে তালিকা তা শহরের সঙ্গে মেলে না। শহরের মানুষ সুশাসন চায়, গ্রামের মানুষ সুশানের অর্থ ভিন্নভাবে বোঝে। গ্রামের মানুষ চায় পর্যাপ্ত টিউবওয়েল, স্যানিটারি পায়খানা, কালভার্ট বা বয়স্ক ভাতার কার্ড।

তিনি বলেন, গ্রামের চাহিদা শহরে এলে উল্টে যায়। শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও দারিদ্র্য সমাজে বড় ব্যাধি। এসব বিষয় আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকার জন্য বলছি না। তবে একটা কথা বলতে পারি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সমাজের এসব ব্যাধি মোকাবিলা করা হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড মহামারির সময় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমার মনে হয় সামাজিক নানা সমস্যা নিয়ে আমাদের আরও গভীরে আলোচনা করা দরকার। অর্থনৈতিক যে জট তৈরি হয়েছে তার সমাধান খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। তারপরও সামগ্রিক বিবেচনায় আমরা ভালো করেছি।

বাল্যবিবাহ রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বিয়ে হয় আমাদের অঞ্চলে। এটা আমাদের ঐতিহ্য। এখানে বাল্যবিবাহও বেশি হয়। সবাই মিলে এটা রুখে দিতে হবে। মাঝে মধ্যে এসিল্যান্ড বাধা দেন, অনেক সময় মেয়ে নিজে টেলিফোন করে বলে ‘বাবা আমাকে বিয়ে দিচ্ছে’। এগুলো শুনে ভালো লাগে। সরকার একা তো পারবে না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নিরক্ষতা বাধা ছিল, তা অনেকাংশে দূর হয়েছে। দারিদ্র্য ৭২ শতাংশের কাছাকাছি ছিল, সেটা ২০ শতাংশে নেমেছে। ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন দারিদ্র্য ছিল ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। গত ১৩ থেকে ১৫ বছরে তা ২০ শতাংশে নামানো হয়েছে। এটা কিন্তু অনেক বড় অর্জন। আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। ভূমি ব্যবস্থায় হাত দিতে হবে। তবে এসব জায়গায় হাত দিলেই নানা বাধা সৃষ্টি হয়।

গোলটেবিল আলোচনায় লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক এবং সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ অংশ নেন।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 


প্রকাশক : মো: মিরাজুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক: শফিকুল ইসলাম

© ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আজ বাংলা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।

ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com

বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭