এতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরশুরাম উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে পরশুরাম দলীয় অফিসসংলগ্ন স্টেশন রোডে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করা হয়। একই দিনে ও একই সময়ে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা পরশুরাম বাজার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পরশুরাম উপজেলা এলাকায় ২৩ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলায় দলীয় কার্যালয়সংলগ্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা বিএনপির কর্মসূচিকে পণ্ড করার জন্য পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে মাইকে প্রচারণা চালাতে শুরু করেন। বিএনপি যাতে সমাবেশ করতে না পারে—এ জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার অজুহাত দেখিয়ে রাতেই ইউএনওকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করানো হয়।
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে আজ সকাল আটটার দিকে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন আহমেদ চৌধুরীকে একাধিকবার কল করে তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটাতে পারে, সে জন্য ভোর থেকে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা