লাইম রোগ কী ? লাইম রোগ প্রতিকার ও লক্ষণ কী কী ?
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২, ০২:৫৩ রাত | অনলাইন সংস্করণ

লাইম রোগ হলঃ এঁটেল পোকা থেকে উৎপত্তি  এক ধরনের রোগ ।কানাডার কুইবেক প্রদেশে লাইম রোগের বিস্তার নিয়ে “কুইবেক লাইম ডিজিজ অ্যাসোসিয়েশন” গ্রীষ্মের ঋতুর শুরুতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যদি কুইবেকে সংক্রমণের ঘটনা প্রদেশটির দক্ষিণে আরো বেশি ধরা পড়ে, তবে এটা নিশ্চিত যে এঁটেল পোকার বিস্তার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং উত্তর উপক‚ল পর্যন্ত এ প্রজাতিটি সনাক্ত করা হয়েছে।

বোরেলিয়া বার্গডোরফেরি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত এঁটেল পোকার কামড়ের মাধ্যমে লাইম রোগ মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। এ রোগটি কুইবেকের সব অঞ্চলকে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কুইবেকের প্রশাসনিক অঞ্চল এস্ট্রি সহ আউটোয়াইস এবং মন্টেরেগি অঞ্চল বেশি আক্রান্ত হলেও এঁটেল পোকা আরও বেশি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।
CHUM-এর মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ডাঃ আমির খাদির মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে এ রোগটি আরও উত্তরে স্থানান্তরিত হবে। এর কারণ ছোট মাঠের ইঁদুর, সাদা পায়ের ইঁদুর এবং যে হরিণ তার শরীরে এঁটেল পোকা বহন করে, তারা সবাই আরও নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে চলে যায়।

অ্যাসোসিয়েশন কুইবেকোইস ডি লাইম রোগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কার্ল ডুবইস বলেছেন, যদিও এঁটেল পোকা মূলত বনে পাওয়া যায়, তবে সেগুলি শহুরে পরিবেশেও পাওয়া যেতে পারে যেখানে ঘাস দীর্ঘ থাকে এবং এটি কেবল উষ্ণতম সময়েই যে পাওয়া যাবে তা নয়।
তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছানোর সাথে সাথে আমাদের বনে, আমাদের বাগানে এঁটেলের উপস্থিত থাকে। তাই শীতের শেষ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, তিনি উল্লেখ করেন।

আমেরিকায় এইডসের পর সবচেয়ে দ্রæত ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণের মধ্যে লাইম রোগটি অন্যতম। এর বাইরে এশিয়া, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে ও লাইম রোগের ঘটনা দেখা যায়।

লাইম রোগের কারণঃ
লাইমের রোগটি বোরেলিয়া বার্গডোরফেরির কামড় থেকে হয়। বোরেলিয়া বার্গডোরফেরি খুব ছোট জীব বা এঁটেল পোকা যা আমাদের ত্বকে লেগে থেকে কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়।

লক্ষণসমূহঃ
এই পোকামাকড়গুলি এত ছোট যে, এগুলি দেখতে অসুবিধা হয়। পোকা কামড় দেয়ার পর ৩ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে লাইমে রোগের লক্ষণ মানুষের মধ্যে উপস্থিত হতে শুরু করে। এক নজরে, আমরা লাইম রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কে জেনে নেই।
১। লাইম রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত ফ্লু-জাতীয়।
২। লাইম রোগের ক্ষেত্রে ত্বকে মশার কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। এই দাগটি একটি লাল বিন্দুর মতো, যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
৩। এই ত্বকের লাল বর্ণের দাগগুলি ধীরে ধীরে বেড়ে যায় এবং চুলকানির অনুভূতি হয়।
৪। জ্বর লাইম রোগের লক্ষণও হতে পারে।
৫। শরীরে শীতল অনুভব করা।

সংক্রমণ প্রতিরোধঃ
কুইবেক লাইম ডিজিজ অ্যাসোসিয়েশনের মিঃ ডুবইসের মতে, ভুলভাবে মনে করা হয় যে এই ক্ষুদ্রপোকাগুলি পায়ে বা শরীরের নীচের অংশে কামড় দিতে পছন্দ করে। এই পোকা এমন জায়গা পছন্দ করে যা আপনি সন্দেহ করবেন না, যেমন – কানের পিছনে, কুঁচকিতে, হাঁটুর পিছনে, কনুই, বগলের নীচে। তাই গ্রামীন অঞ্চলে দীর্ঘ ভ্রমনের পর নিজেকে ভালোভাবে পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়।

সংক্রমণের ক্ষেত্রেঃ
ডাক্তাররা বলেছেন, বেশিরভাগ রোগী শেষ পর্যন্ত নিজেরাই সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কামড়ের পরে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনাকে পোকাটি শরীর থেকে ছাড়িয়ে ফার্মেসিতে যেতে হবে। ফার্মাসিস্টরা এখন কামড়ানোর ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ওষুধের প্রথম ডোজ দিয়ে থাকেন। ডক্টর খাদিরের মতে, খুব দেরি হলে ডাক্তাররা দুই সপ্তাহের চিকিৎসা লিখে দিতে পারেন যা বেশিরভাগ লোককে নিরাময় করে।

 

নিউজ সূত্র-রেডিও কানাডা ও Health
নিউজ ডেস্ক।দৈনিক আজবাংলা


প্রকাশক : মো: মিরাজুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক: শফিকুল ইসলাম

© ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আজ বাংলা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।

ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com

বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭