দুই খুনিকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে সংশয়
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২, ০৬:২৭ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ
|
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে পাঁচজন এখনো পলাতক। সরকারের কাছে তথ্য হলো, দুই খুনি এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। অবস্থান জানা থাকলেও এ দুজনকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কানাডা মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করায় দেশটি থেকে নূর চৌধুরীকে ফেরানোর ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। আর ২০২০ সালের জুনে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়সংক্রান্ত মামলার নথি তলব করেছিল। এতে সরকার তাঁকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশাবাদী হয়। কারণ, মামলাটি পুনরায় সচল হলে রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের পর সে প্রক্রিয়া অনেকটা মন্থর হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শেষ পর্যন্ত ফেরানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করেন সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। বিদেশে থাকায় শুধু বেঁচে যান তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। খুনিদের দায়মুক্তি দিতে আইনও করা হয়েছিল। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শুরু করে। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল এই মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় দেন। পরে উচ্চ আদালত ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান। পলাতক খুনিদের মধ্যে আবদুল মাজেদকে ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। কয়েক দিন পরেই (১১ এপ্রিল রাতে) তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তখন ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় যে দীর্ঘদিন ধরে নাম ও পরিচয় গোপন করে খুনি মাজেদ কলকাতায় বসবাস করছিলেন। এখনো পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে তিন খুনি—খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। দুই খুনির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য থাকলেও ফিরিয়ে আনা যায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার খুনি রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের মামলা পুনর্বিবেচনার নোটিশ দিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের পর বিষয়টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে, তা বাংলাদেশের জানা নেই। গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় বাংলাদেশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা বলেছেন, বিষয়টি সে দেশের বিচার বিভাগে রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা |
ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭