কথা বলেছেন সালমান রুশদি
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৬:৫২ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ
|
নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাহত হওয়া ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ভেন্টিলেটর (কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা) গত শুক্রবার রাতে খুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন। সালমান রুশদির সহকারী অ্যান্ড্রু ওয়াইলির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সালমান রুশদির (৭৫) ওপর হামলায় লেবানিজ বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাদি মাতার (২৪) ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা’ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে হাদি মাতার হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার কথা অস্বীকার করেছেন। এনডিটিভি বলছে, শরীরে গুরুতর আঘাত নিয়ে সালমান রুশদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার নিউইয়র্কে শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে সাহিত্যবিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার আগে সালমান রুশদির ওপর হামলা হয়। তাঁর পেট ও ঘাড়ে অন্তত ১০ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আহত রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে পেনসিলভানিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। রুশদির ওপর চালানো এই হামলায় বিশ্বের অনেকে শোক জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। রুশদির হামলাকারী হাদি মাতারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ড দেখে তাঁকে কট্টরপন্থী শিয়া মতাবলম্বী এবং ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে মনে করা হচ্ছে। সালমান রুশদির জন্ম ভারতের মুম্বাইয়ে। ১৪ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে পড়াশোনা শেষে লেখালেখি শুরু করেন। ‘মিডনাইট চিলড্রেন’ উপন্যাসের জন্য ১৯৮১ সালে বুকার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হয়। তাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পরের বছর ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি এই লেখককে হত্যার ফতোয়া দেন। এরপর দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন সালমান রুশদি। ২০২০ সাল থেকে সালমান রুশদি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ইরানের ফতোয়ার তিন দশক পার হওয়ায় অনেক স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন তিনি। এর মধ্যে তাঁর ওপর এই হামলা হলো। নিউজ ডেস্ক| দৈনিক আজবাংলা |
ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭