সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৯ আগস্ট ২০২২, ১১:৩৯ রাত | অনলাইন সংস্করণ
|
এখনো বই পায়নি সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা। বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে বই-খাতা, ল্যাবের যন্ত্রপাতি। ‘আমার বাংলা বই পানিতে ভাইসসা গেছেগি। আম্মায় বাকি বই হখল হুকাইয়া দিছইন। ওখন বই নাই। স্যারে খইছন দিবা। এক মাস অইযার (হয়েছে) বাংলা পড়ি না। বই না তাখায় আমার মামাতো ভাই সাকিবুল হাসান, বইন বৃষ্টি আক্তার ও লাগাবাড়ির কবির হোসেন ইশকুলে আয় না। আমি এখলা এখলা আই। না আইলে আম্মায় মারইন।’ কথাগুলো সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাপুর ভেদেপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাগরিকা আক্তারের। শুধু সাগরিকা, সাকিব, বৃষ্টি, তারিক ও তারিবাই নয়; এই অবস্থা সুনামগঞ্জ জেলার ১ হাজার ৪৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর। দুই দফা ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি বই-খাতা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তাদের। অনেকের স্কুলড্রেসও হারিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরাও। দেখা দিয়েছে ঝরে পড়ার আশঙ্কাও। এসএসসি পরীক্ষার্থী, দশম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জেলা থেকে বই সংগ্রহ করে দেওয়া হলেও এখনো বই পায়নি ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বন্যায় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র, দরজা-জানালা নষ্ট হয়ে গেছে।দেবে গেছে ফ্লোর। অনেক প্রতিষ্ঠানের সামনে-পেছনের মাটিও সরে গেছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাপুর ভেদেপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান বিজিত কুমার রায় জানান, ‘আমার স্কুলের ২৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫০ জনের বই নষ্ট হয়েছে। আসবাবপত্রসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। তবে এখনো বইসহ কিছুই পাইনি। জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, শিগগিরই বইসহ সবকিছু দেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন বিদ্যালয়ে থাকা পুরোনো বই দিয়ে কিছুটা ম্যানেজ করা হয়েছে। বাকি বইগুলোর জন্য চাহিদাপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়েছি এখনো আসেনি। কবে আসবে সেটাও জানি না।’ নিউজ ডেস্ক| দৈনিক আজবাংলা |
ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭